সংক্ষিপ্ত
হাতের রেখা হিসেবে যদি এই দুটি চিহ্ন থাকে তাহলে তা সম্পদ আর যশের অর্থ বহন করে। একটি হল শঙ্খ , অন্যটি চক্র। দুটি খুব শুভ চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়।
হাতের রেখা পড়া হল জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাতের অনেক চিহ্নের মাধ্যমে যে কোনও ব্যক্তি বা মহিলা সম্পর্কে সম্পর্ক ধারনা করা যায়। পাশাপাশি হাতের রেখার মধ্যে দিয়ে যে কোনও ব্যক্তি তার অতীত বা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে পারে। তবে হাতের রেখা হিসেবে যদি এই দুটি চিহ্ন থাকে তাহলে তা সম্পদ আর যশের অর্থ বহন করে। একটি হল শঙ্খ , অন্যটি চক্র। দুটি খুব শুভ চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়।
এই দুটি চিহ্ন সাধারণ হাতে দেখা যায়। আসুন এবার জেনেনি এই দুটি চিহ্ন থাকলে কী কী হতে পারে-
কনিষ্ঠ আঙুল- হস্তরেখাবিদ্যা অনুযায়ী বলেযে কোনও ব্যক্তির হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে যদি চক্রের চিহ্ন দেখা যায় তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনে কোনও দিনই অর্থের অভাব হয় না।
রিং ফিঙ্গার বা অনামিকা- হস্তরেখাবিদ্যায় বলা আছে অনামিকাতে চক্র থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি সংসারে বস্তুবাদী হয়। ব্যক্তি খুবই আনন্দ দিতে পারেন। নিজেও আনন্দে থাকতে ভালবাসেন।
মধ্যমা- হস্তরেখাবিদ্যা অনুযায়ী যদি মধ্যমাতে চক্র দেখা যায় তাহলে সেই ব্য়ক্তি খুবই ধার্মিক আর ন্য়ায়পরায়ণ হয়। সেই ব্যক্তি কোনও দিনই আর্থিক সংকটে পড়ে না।
তর্জনী- হস্তরেখাবিদ্যা অনুযায়ী তর্জনীতে একটি চক্র থাকে তাহলে মধ্যমা অঙুলের ডানদিকের আঙুলে থাকে তাহলে এই ধরনের ব্যক্তি খুবই উচ্চাকাঙ্খী হয়। প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। কঠোর পরিশ্রম করতে পারে।
বুড়ো আঙুল - যাদের বুড়ো আঙুলের চক্র থাকে তাদেরও অর্থের সমস্যা হয় না। পৈত্রিক সম্পত্তি পান। এরা সাধারণত খুবই ভাগ্যবান হয়।
এবার আসি শঙ্খের চিহ্নে-
হস্তশিল্প বিদ্যা অনুসারে যদি কোনও ব্যক্তির হাতের তালুর এক আঙুলে শঙ্খের আকার থাকে তবে এই ব্যক্তি উচ্চশিক্ষা লাভ করতে পারে। যদি দুটি আঙুলে এই চিহ্ন থাকে তাহলে সেই ব্যক্তি প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য পান। কোনও ভাবেই তাকে থামানো যায় না। তিনটি আঙুলে থাকলে শারীরিক সুখের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যায় করেন। চারটি আঙুলে থাকলে জীবনে আড়ম্বরপুর্ণ করে তোলেন নিজের উদ্যোগে। আর বুড়ো আঙুলে শঙ্খের চিহ্ন থাকলে জীবনে প্রচুর টাকার মালিক হন। আর্থিক অনটন কী তা কোনও দিনও চের বান না।