সংক্ষিপ্ত

বাস্তু অনুসারে, জুতা-চप्পল রাখার স্থান ঘরের শক্তিকে প্রভাবিত করে। ভুল জায়গায় রাখলে নেতিবাচক শক্তি এবং আর্থিক সমস্যা আসতে পারে। জেনে নিন জুতা-চप्পল রাখার সঠিক বাস্তু নিয়ম।

বাস্তুশাস্ত্রে ঘরের শক্তি এবং তাতে রাখা জিনিসপত্রের স্থানের বিরাট গুরুত্ব রয়েছে। এতে জুতোর তাক রাখার সঠিক স্থানের গুরুত্বও অন্যান্য জিনিসের মতোই। জুতো আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, কিন্তু এগুলো সঠিক জায়গায় না রাখলে ঘরে নেতিবাচক শক্তি আসতে পারে এবং মা লক্ষ্মীর কৃপা আমাদের থেকে দূরে সরে যেতে পারে। আসুন জেনে নিই জুতো রাখা নিয়ে বাস্তুশাস্ত্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম:

জুতো রাখার সঠিক স্থান কোথায়?

ঘরের প্রধান প্রবেশদ্বারে জুতা-চप्পল রাখা বাস্তুদোষ সৃষ্টি করে। এটি কেবল নেতিবাচক শক্তিকে বাড়ায় না, বরং এতে মা লক্ষ্মীর ঘরে প্রবেশও বন্ধ হতে পারে। প্রধান দরজা সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুবিন্যস্ত রাখা উচিত।

বাস্তু অনুসারে, শোবার ঘরে জুতা-চप्পল রাখলে দাম্পত্য জীবনে কলহ এবং উত্তেজনা বাড়তে পারে। বিছানার নীচে জুতো রাখাও অশুভ বলে মনে করা হয়।

পুজার স্থান পবিত্র এবং ইতিবাচক শক্তির কেন্দ্র। এর কাছে জুতো রাখলে শক্তি দূষিত হয়, যা মা লক্ষ্মীর কৃপা হ্রাস করতে পারে।

বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, জুতো রাখার জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম দিক সবচেয়ে উপযুক্ত। এতে ঘরের শক্তি সুষম থাকে এবং নেতিবাচক প্রভাব কম হয়। এগুলো রাখার জন্য সবসময় একটি বন্ধ আলমারি ব্যবহার করুন।

ঘরে ভাঙা বা পুরনো জুতো রাখা মা লক্ষ্মীর অসন্তোষের কারণ হতে পারে। এটি ঘরে আর্থিক সমস্যা এবং মানসিক চাপ বাড়ায়।

জুতো এদিক-ওদিক ছুঁড়ে ফেলার অভ্যাস ঘরে অব্যবস্থা বাড়ায়। এটি ঘরে নেতিবাচক শক্তি আনার কারণ হয়।

কী করবেন:

জুতো রাখার জন্য একটি নির্দিষ্ট এবং পরিষ্কার স্থান ঠিক করুন।

র‍্যাক বা আলমারি সময়ে সময়ে পরিষ্কার করুন এবং ভাঙা জুতো সরিয়ে ফেলুন।

পুজোস্থল, রান্নাঘর এবং শোবার ঘরের কাছে জুতো রাখবেন না।