সংক্ষিপ্ত
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, জাতক বা জাতিকার জন্ম মাস তাঁর ব্যক্তিত্ব বা ভাগ্য় নির্ধারণে সাহায্য করে। একইভাবে কোনও ব্যক্তির আচরণ এবং তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে সেই ব্যক্তির জন্ম সময়, কাল বা জন্ম মাসের উপর।
বর্তমানে প্রশ্নকর্তার জন্মসময় (Birth Time), তারিখ এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে, জন্মকালে মহাকাশে গ্রহের অবস্থান নিরুপণ করে অথবা প্রশ্নের সময় গ্রহাদির অবস্থান নির্ণয় করে, অথবা হস্তরেখাবিচার, শরীরের চিহ্নবিচার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহারে প্রশ্নকর্তার ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করার জ্ঞান ও পদ্ধতিকে জ্যোতিষশাস্ত্র (Astrology) বলা হয়। আবার জ্যোতিষশাস্ত্রের (Astrology) একটি বিভাগ দেশ, রাজ্য, শহর, গ্রাম ইত্যাদির এবং প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর যেমন বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়, ঝঞ্ঝা, মহামারী বা প্লাবণের ভবিষ্যদ্বাণী করতেও ব্যবহৃত হয়।
তবে অনেকেই আছেন যারা এই শ্রাস্ত্রকে বিশ্বাস করেন না। আর যারা বিশ্বাস করেন তাদের তো আর কথাই নেই। জ্যোতিষশাস্ত্র (Astrology) মতে, জাতক বা জাতিকার জন্ম মাস তাঁর ব্যক্তিত্ব বা ভাগ্য় নির্ধারণে সাহায্য করে। একইভাবে কোনও ব্যক্তির আচরণ এবং তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য নির্ভর করে সেই ব্যক্তির জন্ম সময়, কাল বা জন্ম মাসের উপর। জাতকের ভাগ্য সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দেওয়া সম্ভব তাঁর জন্ম, জন্মবার এবং জন্মমাস থেকে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, অগ্রহায়ণ মাসে জন্ম হলে, জেনে নিন সেই জাতক বা জাতিকার ব্যক্তিত্ব সম্বর্কে।
আরও পড়ুন: Gold price today - দিওয়ালির আগে সোনার দামে বড়সড় পতন, জেনে নিন আজকের সোনা-রূপোর দর
এই মাসে যাদের জন্ম তারা আলাপী, ভদ্র স্বভাবের হয়ে থাকে।
এরা সাধারণত জ্যোতিষ, বিচারক, উকিল,পত্রিকার সম্পাদক, হিসাব পরীক্ষক, অধ্যাপক,উচ্চপদস্থ কর্মচারী বা বড় ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন।
অগ্রহায়ণ মাসে জন্ম হলে তাঁরা খুব ভদ্র স্বভাবের হয়ে থাকে, অথবা সে অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকে।
এই মাসে জন্ম হলে জাতক বা জাতিকা অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির হয়, এদের মনের আন্দাজ করা সহজ নয়। এমনকি অতি ঘনিষ্ট বন্ধু তাঁদের মনের খবর পায় না।
এরা একা থাকতে পছন্দ করেন। এরা আড়ালে বা গুটিয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। এদের জীবন বাধা-বিঘ্ন লেগেই থাকে।
এদের দৃঢ় মানসিকতা এবং ইচ্ছাশক্তি অদম্য। এরা কোনও কাজ করবে বলে মনে করলে কিছুতেই তার থেকে পিছ পা হন না।
এরা উচ্চাভিলাসী। এরা তার জন্য প্রচুর পরিশ্রমও করতে সক্ষম। স্বপ্ন সার্থক করার জন্য প্রচুর চেষ্টাও করে।
এরা কর্মে বিশ্বাসী। তাই খুব চিন্তা ভাবনা করেই খরচ করেন। তাই অনেকেই এদের স্বার্থপর বা কৃপণ বলে মনে করেন।
এদের মানসিক শক্তি অত্যন্ত প্রবল ও দৃঢ় হওয়ার কারণে এরা জীবনে সমস্ত বাধা বিঘ্ন কাটিয়ে সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হয়।