সংক্ষিপ্ত
সামনেই বিয়ে, বিয়ের কার্ড ছেপেও গিয়েছে, শেষ বেলার জেনে নিন এই নিয়মগুলো মানা হয়েছে তো!
একে একে বিয়ের (Marriage) মরসুম হাজির, বাড়িতে বিয়ের সানাই বাজার আগে সতর্ক হন। নবদম্পতির (Marriage Couple) সুখের জন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর তাই বাস্তুকে এড়িয়ে গেলে চলবে না। বাস্তুশাস্ত্র (Vastu) শব্দটি এসেছে বস্তু থেকে। বাস্তু বলতে সব কিছুকেই বুঝায়- তা একটি স্থান হতে পারে- কিংবা একটা বাড়িও হতে পারে। ভারত উপমহাদেশে প্রায় সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে স্থাপত্য নির্মাণকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
সভ্যতার শুরু থেকেই ভারতীও উপমহাদেশে শিল্পচর্চাকে ঊর্ধ্বে স্থান দেয়া হয়েছে। স্থাপত্যশৈলী উপবেদের অন্যতম বিষয়। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্যশাস্ত্র চারটি উপবেদের অন্যতম। প্রায় ৫০০০ বছর ধরে বাস্তুবিদ্যা কালের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে জয়ী হয়েছে। স্থাপত্য উপবেদ বা স্থাপত্য শাস্ত্রের সূত্রগুলো পরবর্তিকালে 'বাস্তুশাস্ত্র' শিরোনামে লিপিবদ্ধ হয়েছে। বৈদিক যুগে স্থাপত্য বিজ্ঞান মূলত মন্দির নির্মাণে ব্যবহৃত হত। পরবর্তীতে তা বিস্তার লাভ করে। প্রাচীন যুগে স্থপতিরা কেবল নিছক তৈরির কাজ করতেন না, নির্মাণশৈলী ও পরিকল্পনার বিষয়টিও তদারক করতে হত তাঁদের।
আরও পড়ুন: Gold price today - দিওয়ালির আগে সোনার দামে বড়সড় পতন, জেনে নিন আজকের সোনা-রূপোর দর
চলছে বিয়ের মরশুম, একইসঙ্গে চলছে বিয়ের প্রস্তুতিও। তাই নতুন জীবন শুরু করার আগে পালন করতে হয় বহু রীতি। এর কারন একটাই যেন কোনও অশুভ প্রভাব না পরে। নতুন জীবন শুরু করার আগে তাই বিয়ের অন্যতম বিষয়ের উপর নজর দিন। বিয়ের সবথেকে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল বিয়ের কার্ড। এর কারণ হল বিয়ের কার্ড থেকেই হবু পাত্রপাত্রী সম্পর্কে জানতে পারেন সকলে। তাই হবু দম্পতিকে সুখী রাখতে বিয়ের কার্ডে মেনে চলুন বাস্তুর এই নিয়মগুলি।
বিয়ের কার্ডে পাত্রপাত্রীর ছবি না দেওয়াই ভালো বলে মনে করেন বাস্তুশাস্ত্র। কোনও ভাবেই বিয়ের কার্ডের রং কালো বা ধূসর রং-এর করা উচিৎ নয়। এর পাশাপাশি বাস্তু মতে, বর্তমানে নানা আকারের বিয়ের কার্ড বা ডিজাইনার কার্ডের ট্রেন্ড চলছে তবে আয়তাকার বা বর্গাকার বিয়ের কার্ডই শুভ বলে মনে করেন বাস্তুশাস্ত্রবিদরা। বিয়ের কার্ডে অনেকেই ঠাকুরের ছবি ব্যবহার করেন, তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন কোনওভাবেই বিয়ের কার্ডে নৃত্যরত গণেশের ছবি ব্যবহার না হয়। বিয়ের কার্ডের অশুভ শক্তি বৃদ্ধি করতে ফুলের পাঁপড়ি বা সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। বিয়ের কার্ড লাল বা মেরুন রং হওয়া অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিয়ের কার্ডে মনে করে অবশ্যই স্বস্তিক চিহ্ন রাখুন। এই চিহ্নের গুরুত্ব অপরিসীম।