সংক্ষিপ্ত
ভারতবর্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশে- বাংলা নববর্ষে এদের ভাগ্য়ের জ্যোতিষ কী বলছে তা নিয়ে কৌতুহল এখন চরমে। জ্যোতিষ মতে বাংলা নতুন বছরের কারোও ভাগ্য সুপ্রসন্ন আবার কারও ভাগ্যে রয়েছে দুর্যোগ এবং সঙ্কটের ঘনঘটা। ইউক্রেন বা রাশিয়ার ভাগ্য নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ। বিশেষ করে বাংলা নতুন বছরে এই দুই দেশের ভাগ্য কোন পথে যাবে- তা জানার কৌতুহলও রয়েছে।
বাংলা নতুন বর্ষ ১৪২৯। ইতিমধ্যেই নতুন বছরের ভাগ্য নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জ্যোতিষ বিশ্লেষণ। কারণ নতুন কিছুতে পা দেওয়া মানেই পুরনোকে ছেড়ে এগিয়ে যাওয়া এবং সেইসঙ্গে পুরনো সাফল্য ও ব্যর্থতাকে ভুলে নতুন করে একটা শুরু মঙ্গলের লক্ষে। জ্যোতিষ মতে, যদি আগে থেকেই কোনটা ভালো কোনটা মন্দ- এমন একটা ধারণা তৈরি করে নেওয়া যায় তাহলে সেই বুঝে একটা আশা-আকাঙ্খার ভিত তৈরি করা সম্ভব। এর ফলে কোনও কিছুতে পরিকল্পনা করাটাও সহজ হয় এবং ব্যর্থতা বা অসাফল্যকেও হজম করাটা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। বাংলা নতুন বছরে ভারতবর্ষ থেকে শুরু করে বাংলা-র ভাগ্যটা কেমন যেতে পারে- তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক- জ্যোতিষ মতে।
ভারতবর্ষ- জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে ভারতবর্ষের রাশির নাম মকর। এই অনুযায়ী বাংলা নববর্ষ ১৪২৯-এ যদি দেশের ভাগ্য বিশ্লেষণ করা যায় তাহলে দেখা যাচ্ছে- দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া বর্তমান রাজনৈতিক দল আরও বেশি করে তাদের প্রচারাভিযানে নেমে সাফল্যের খতিয়ানকে তুলে ধরার চেষ্টা করবে। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি তাদের বিরোধিতার মাত্রাকেও তীব্র করতে নিজেদের মধ্যে আরও বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে ভারত সরকার বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান বদল করতে পারে। দেশে কর্মসংস্থান এবং আর্থিক উন্নতির চেষ্টা করলেও তাতে সাফল্য কম আসার সম্ভাবনা। এমনকী বৈদিশিক পুঁজির বিনিয়োগেও খুব একটা আশা দেখা যাচ্ছে না বাংলা নববর্ষ ১৪২৯-এ। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিরোধের চেষ্টা সরকার করবে। কিন্তু তাতে সাফল্য আসবে না বলেই জ্যোতিষশাস্ত্র দাবি করেছে। কৃষি এবং শিক্ষায় সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিতে পারে। বিদেশী মদতপুষ্ট সন্ত্রাস প্রতিরোধের চেষ্টা করা হলেও সীমান্তে এই সমস্যা থাকবেই। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল এবং অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেলেও কূটনৈতিক সম্পর্ক মধুর হওয়ার সম্ভাবনা কম। ক্রীড়া, প্রযুক্তি, মহাকাশ গবেষণায় ভারত তার উন্নতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করবে। শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক জগতে কিছু বিশিষ্টজনের জীবনাবসানের শঙ্কা রয়েছে। মহামারি জনিত মৃত্যুর প্রকোপ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা।
পশ্চিমবঙ্গ- বাংলা নববর্ষ ১৪২৯-এর জ্যোতিষ চর্চা অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের রাশির নাম মেষ। বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা বাংলা নববর্ষে খুব একটা স্থিতীশিল হবে না। এতে নানা ধরনের উদ্বেগ এবং রাজনৈতিক বিতর্ক লেগেই থাকবে। ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প এবং স্বনিযুক্তি প্রকল্পে রাজ্য সরকারের সাহায্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনায় মানুষ উপকৃত হবে। কেন্দ্রের আর্থিক নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের তরজা লেগেই থাকবে। এখানে মিমাংসা পাওয়া কঠিন রয়েছে। দাবি জ্যোতিষ শাস্ত্রের। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়েও রাজ্য ও কেন্দ্র দ্বৈরথ অব্যাহত থাকার শঙ্কা। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গেলেও রাজ্য পরোক্ষভাবে কেন্দ্রীয় সাহায্যে অর্থনীতি উন্নয়নের চেষ্টায় নিয়োজিত থাকবে। রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা থেকে উন্নয়ন এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে শস্যহানি এবং প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে। শাসক দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব এবং অনুশাসন না মানার জেরে রাজ্যের শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠার সম্ভাবনা। প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে কলুষিত করার চেষ্টা করবে শাসকদল। কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির জীবনাবসানের সম্ভাবনা রয়েছে। মহামরি পরবর্তি অবস্থা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
বাংলাদেশ- জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে বাংলাদেশের রাশি হল মেষ। ভারতের প্রতিবেশী এই দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শেখ হাসিনার বিরোধীর রাজনৈতিক দলগুলির আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে। এর ফলে ভারতের মতো রাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে। গুপ্ত হত্যার সংখ্যা বাংলাদেশে বৃদ্ধি পাবে বলেও জ্যোতিষ গণনায় দাবি করা হয়েছে। বৈদেশিক বিনিয়োগ টানার মধ্যে দিয়ে এই দেশের সরকার কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে ফসল উৎপাদনে প্রভাব ফেলবে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের দুর্দশা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
পাকিস্তান- এই দেশে এই মুহূর্তে সাংবিধানিক সঙ্কট চলছে। ইমরান খানের বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছে। বাংলা নতুন বছরে এই দেশের ভাগ্যের জ্যোতিষশাস্ত্র কী বলছে, দাবি করা হয়েছে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অস্থিরিতা এই দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। ধর্মীয় মৌলবাদীদের আন্দোলন আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা। কর্যকলাপ বৃদ্ধি পাবে উগ্রপন্থী সংগঠনগুলির। তবে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং বেকারত্ব সাধারণ মানুষকে পথে নামাবে বলেও দাবি করা হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে অতিনাটকীয়তা বৃদ্ধির চেষ্টা চালাবে ইসলামাবাদ। তবে, তাতে খুব একটা সফল হবে না বলেই জানাচ্ছে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯-এর জ্যোতিষ ভাগ্য গণনা।
আরও পড়ুন- বাস্তুদোষ কাটবে শঙ্খের গুণে, জেনে নিন কোথায় শঙ্খ রাখলে উপকার পাবেন
আরও পড়ুন- পয়লা বৈশাখে মা লক্ষ্মীর পুজো করতে মেনে চলুন এই টোটকা, আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটবে
আরও পড়ুন- চিনি নিন এই চার রাশির ব্যক্তিদের, এরা উপহার দেওয়ার ব্যপারে বড্ড কার্পণ্য করে থাকেন