সংক্ষিপ্ত

ভগবান কার্তিককে উৎসর্গ করা হয় এই দিনটি। ভগবান শিব (Lord Shiv) এবং দেবী পার্বতীর (Devi Parvati) পুত্র ভগবান কার্তিক দক্ষিণ ভারেত মুরুগান, সুব্রামানিয়ান, আরুমুঘম এবং শানমুঘম নামে অভিহিত করা হয়। এই দেবতা শুক্লপক্ষের পঞ্চমী বা ষষ্ঠী তিথিতে পুজিত হন। দক্ষিণ ভারতে দিনটি স্কন্দ ষষ্ঠী হিসেবে খ্যাত।

প্রতি বছর মাঘ মাসে সন্তানের মঙ্গল কামনায় মায়েরা পালন করে থাকেন স্কন্দ ষষ্ঠী ব্রত (Skanda Shasthi Vrat)। মূলত দক্ষিণ (South) ভারতে পালিত হয় এই উৎসব। মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে পালিত হয় এই ব্রত। ভগবান কার্তিককে উৎসর্গ করা হয় এই দিনটি। ভগবান শিব (Lord Shiv) এবং দেবী পার্বতীর (Devi Parvati) পুত্র ভগবান কার্তিক দক্ষিণ ভারেত মুরুগান, সুব্রামানিয়ান, আরুমুঘম এবং শানমুঘম নামে অভিহিত করা হয়। এই দেবতা শুক্লপক্ষের পঞ্চমী বা ষষ্ঠী তিথিতে পুজিত হন। দক্ষিণ ভারতে দিনটি স্কন্দ ষষ্ঠী হিসেবে খ্যাত। 

প্রভু মুরুগানকে স্কন্দ কুমার হিসেবেও অভিহিত করা হয়। স্কন্দ ষষ্ঠী (Skanda Shasthi Vrat) পালিত হয় মাঘ মাসের পঞ্চমী তিথিতে। প্রভু মুরুগান হলেন দেবের সেনাপতি। তাই তাঁকে যুদ্ধের ঈশ্বর বলা হয়। কথিত আছে, তিনি অস্ত্র দিয়ে সূরপদ্মনের মস্তক ছিন্ন করেছিলেন। আর রাক্ষসের মাথা থেকে দুটি পাথি বের হয়। একটি হল ময়ূর। যা তার বাহন হয়ে যায়। অন্যটি মোরগ। এটি তাঁর পতাকার প্রতীক।  

কীভাবে পালন করা হয়-
দক্ষিণ ভারতে সন্তানের মঙ্গলকামনায় পালিত হয় স্কন্দ ষষ্ঠী ব্রত (Skanda Shasthi Vrat)। এই দিন পুজিত হন ভগবান কার্তিক। সন্তান লাভের জন্য এবং সন্তানের মঙ্গল কামনায় পালন করা হয় স্কন্দ ষষ্ঠী ব্রত। এই ব্রত পীলন করতে ভোর বেলা উঠে গঙ্গা স্নান করুন। এবার ঠাকুর ঘরের বেদিত স্থাপন করুন ভগবান কার্তিকের মূর্তি। এবার ফুল, মালা দিয়ে সাজান। চারিদিকে গঙ্গা জল ছেটান। ফল, বাদাম, মধু, হলুদ, চন্দ্র, ঘি নৈবেদ্য সাজান। প্রদীপ ও ধূপ জ্বালান। পাঠ করুন প্রভু মুরুগান মন্ত্র। 

আরও পড়ুন: Masik Vinayak Chaturthi: আজ দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে মাসিক বিনায়ক চতুর্থী ব্রত, জেনে নিন এই পুজোর মাহাত্ম্য

আরও পড়ুন: Interesting Facts About Lord Ganesh: কেন মোদক ভগবান গণেশের প্রিয় খাদ্য, রইল ভগবান গণেশ প্রসঙ্গে অজানা কাহিনি

কেন পালন করা হয়-
মূলত যে সকল মহিলারা সন্তান জন্ম দিতে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হন তারা পালন করে স্কন্দ ষষ্ঠী ব্রত (Skanda Shasthi Vrat)। সারাদিন উপবাস করে এই ব্রত পালন করতে হয়। পুজো শেষে ফল খেয়ে উপবাস ভাঙার রীতি আছে। এদিন মূলত নিরামিশ ভোজন করে থাকেন সকলে। সন্তানের মঙ্গল কামনায় মায়েরাও এই ব্রত পালন করে থাকেন। প্রচলিত আছে, কার্তিক পুজো করলে গৌরব ও সমৃদ্ধি লাভ হয়। যাদের রাশিতে মঙ্গল দূর্বল তারাও এই পুজো করেন। বলা হয়, মঙ্গলকে শক্তিশালী করতে ও মঙ্গল গ্রহের শুভ ফল লাভ করতে কার্তিকের পুজো করা হয়।