রবিবার পালন করুন এই বিশেষ টোটকা, দূর হবে আর্থিক জটিলতা থেকে পারিবারিক বিবাদ

ভবিষ্যত গণনা করতে জ্যোতিষ শাস্ত্রের ওপর ভরসা করেন সকলেই। যুগ যুগ ধরে এমন ধারণা চলে আসছে। সে কারণে বিয়ের আগে, চাকির পেতে কিংবা স্বাস্থ্যের জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে অনেকে জ্যোতিষির কাছে যান। সমাজের মুষ্ঠিমেয় কিছু মানুষ সর্বক্ষেত্রে ভরসা করেন জ্যোতিষের ওপর। জ্যোতিষ শাস্ত্রে, শুধু গণনা দ্বারা যে সকল সমস্যার কথা আগে থেকে বলা যায় এমন নয়। যে কোনও সমস্যা থেকে নিষ্পত্তির উপায়ও রয়েছে শাস্ত্রে। শাস্ত্রে রয়েছে একাধিক টোটকার হদিশ। সেই সকল টোটরা মেনে চললে যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তবে, এই সকল টোটকা যখন-তখন পালন করা যায় না। সব টোটকা পালনের নির্দিষ্ট দিন আছে। আছে সঠিক সময়। আজ রইল রবিবারের কিছু টোটকা। প্রতি রবিরার এই সকল টোটকা পালন করুন। আর্থিক জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে হোক কিংবা রবিরার এই সকল টোটকা পালন করতে পারেন। 

রবিবার আদিত্য হৃদয় স্তোত্র পাঠ করুন। এতে সূর্য দেব প্রসন্ন হবে। সূর্য দেবের আশীর্বাদ পেলে সংসারে সুখ, শান্তি বিরাজ করবে। তেমনই পরিবারের সকল সদস্যের সম্মান বৃদ্ধি পাবে। প্রতি রবিবার সকালে স্নান সেরে এই স্তোত্র পাঠ করুন। মিলবে উপকার। 

রবিরার সূর্যাস্তের পর অশ্বত্থ গাছে প্রদীপ জ্বালান। দেবী লক্ষ্মী প্রসন্ন হবেন। প্রতি রবিবার সন্ধ্যার পর চার মুখী প্রদীপ জ্বালান। এতে সকল আর্থিক সমস্যা দূর হবে। 

রবিরার স্নানের জলে লাল ফুল দিন। লালা চন্দন, এলাচ, জাফরানও মেশাতে পারেন। এই জলে স্নান করলে জীবনের সকল দুঃখ কষ্ট বিলুপ্ত হবে এবং পারিবারিক জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেবে। 

রবিবার পিঁপড়েকে চিনি খাওয়ান। এতে মা লক্ষ্মী প্রসন্ন হবে। আর্থিক কোনও জটিলতা চলতে থাকলে মেনে চলুন এই টোটকা। সহজে মুক্তি মিলবে কঠিন পরিস্থিতি থেকে। 

তেমনই ররিবার সকালে স্নানের পর কপালে লাল চন্দন লাগান। লাল চন্দনের তিলক আঁকুন। বিশেষ করে কোনও জরুরি কাজে বাইরে গেলে এই চন্দন লাগিয়ে যান। সব কাজে সফল হবেন। তেমনই আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হবে এই টোটকা মেনে চললে। 

রবিবার দরিদ্রদের তামার পাত্র বা গম দান করুন। জমি সংক্রান্ত কোনও বিবাদ থাকলে এই টোটকা বেশ উপকারী। এই দান আপনার সম্পত্তি সংক্রান্ত সকল জটিলতা দূর করবে।