জীবনে সাফল্য হোক বা কর্মজীবনে অগ্রগতি, কাজে লাগান লবঙ্গ, জেনে নিন কিভাবে মিলবে প্রতিকার

হিন্দু ধর্মে লবঙ্গকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি অনেক জ্যোতিষশাস্ত্রের কাজে লবঙ্গের ব্যবহার কার্যকরী। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে লবঙ্গের প্রতিকারে অনেক থমকে থাকা কাজ সম্পন্ন হয়। কর্মজীবনে অগ্রগতি এবং জীবনে সাফল্য পেতে লবঙ্গ দিয়ে আপনি অনেক প্রতিকার করতে পারেন । লবঙ্গের প্রতিকার ঘর ও জীবনে উপস্থিত নেতিবাচকতা দূর করে। এটি জীবনের ঝামেলা দূর করতে সাহায্য করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক লবঙ্গ দিয়ে কি কি প্রতিকার করা যায়।
লবঙ্গ জ্বালিয়ে আটকে থাকা টাকা পাওয়া যাবে 
আপনার টাকা যদি কোথাও আটকে থাকে বা টাকা পেতে সমস্যা হয়, তাহলে লবঙ্গ দিয়ে প্রতিকার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে অমাবস্যা বা পূর্ণিমার রাতে ১১ বা ২১ টি লবঙ্গ কর্পূর দিয়ে পোড়াতে হবে। এর পরে, দেবী লক্ষ্মীর ধ্যান করুন এবং আপনার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করুন। এতে করে আপনি আপনার আটকে থাকা টাকা ফেরত পাবেন এবং টাকা পাওয়ার পথও খুলে যাবে।
ইন্টারভিউ পাস করতে 
আপনি যদি কোথাও ইন্টারভিউয়ের জন্য যাচ্ছেন বা এই ধরনের কোনও কাজে বাইরে যাচ্ছেন এবং আপনি চান সেই কাজটি হোক। এর জন্য লবঙ্গ দিয়ে প্রতিকার করতে পারেন। এর জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দুটি লবঙ্গ মুখে রাখুন। এই লবঙ্গের অবশিষ্টাংশ কর্মস্থলে ফেলে দিন। কাজের সাফল্যের জন্য আপনার প্রধান দেবতার কাছে প্রার্থনা করুন। এতে করে আপনি ইন্টারভিউতে সফলতা পাবেন।
লবঙ্গের প্রতিকারে পরিশ্রমের ফল পাওয়া যাবে 
অনেক সময় পরিশ্রম করেও তার ফল পাওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার হনুমানের মূর্তির সামনে জুঁই তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে তাতে দুটি লবঙ্গ রাখুন। এরপর হনুমান চালিসা পাঠ করুন এবং আরতি করুন। এর পরে, হনুমানজির ধ্যান করুন এবং শুধুমাত্র আপনার কাজের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করুন। টানা ২১টি মঙ্গলবার এটি করুন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার পরিশ্রমের ফল পাবেন এবং সমস্ত কাজ সম্পন্ন হতে শুরু করবে।
অর্থের জন্য এই নিয়মগুলি পালন করুন 
ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি এবং ধন-সম্পদের জন্য দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করার সময়, প্রতিদিন মাকে গোলাপ ফুলের সঙ্গে দুটি লবঙ্গ অর্পণ করুন। যদি প্রতিদিন এটি সম্ভব না হয় তবে শুক্রবার এটি করুন।
নেতিবাচকতা দূর করতে 
ঘরে উপস্থিত নেতিবাচক শক্তি দূর করতে শনিবার তেলের প্রদীপে তিন বা চারটি লবঙ্গ জ্বালিয়ে ঘরের অন্ধকার কোণে রাখুন। এতে নেতিবাচক শক্তিও দূর হবে এবং ধীরে ধীরে কাজও হতে শুরু করবে।