সংক্ষিপ্ত
বাড়িতে ফাঁকা দেওয়ার রাখবেন না। এটা মনের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন বাস্তু টোটকা (Vastu Tips)।
একটা সময় বাস্তুশাস্ত্রের ধারণা শুধু মুষ্টিমেয় মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু, বর্তমানে সকলে বাস্তুর ওপর বিশ্বাস করছেন। বাস্তু মতে, ঘর বানাচ্ছেন। বাস্তু মতে ঘর সাজাচ্ছেনও। এখন সকলেই বিশ্বাস করেন যে, বাস্তু (Vastu) মানুষের জীবনে ওপর প্রভাব ফেলে। একারণেই বাস্তু শাস্ত্রে ওপর সব ধরনের মানুষের বিশ্বাস (Trust) ক্রমে বাড়ছে। আর্থিক টানাপোড়েন (Financial Problems), চাকরিতে (Job) বাধা, বিয়েতে (Marriage) বাধা, দাম্পত্য অশান্তি থেকে পরিবারের সদস্যদের শারীরিক সমস্যা (Health Issue) সমাধানের একাধিক উপায় বর্ণিত আছে বাস্তু শাস্ত্রে। বাস্তু মতে বাড়ি সাজালে ঘরে কোনও নেতিবাচক এনার্জি (Negative Energy) তৈরি হবে না। কিন্তু, জানেন কি বাস্তু মানুষের মানসিকতার ওপরও প্রভাব ফেলে। বাড়িতে বাস্তুদোষ থাকলে তার খারাপ প্রভাব পড়ে মানসিকতায়। তাই মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন বাস্তু টোটকা (Vastu Tips)।
বাস্তু শাস্ত্র অনুসারে, ঘরের কোনও দেওয়াল ফাঁকা রাখবেন না। এতে মনের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। বাস্তু মতে, হাতে অনেক সময় থাকলে সকলেই খারাপ-ভালো চিন্তা করে। আর এই চিন্তা ভাবনার ওপর প্রভাব ফেলে ফাঁকা দেওয়াল। বাস্তু মতে, ঘরের কোনও দেওয়ার পুরোপুরি ফাঁকা রাখতে নেই। এতে মনে নেতিবাচক চিন্তা আসে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে। ক্ষুণ্ণ হয় পরিবাবারে শান্তি। তাই কোনও দেওয়ার পুরো খালি রাখবেন না। সম্ভব হলে, নিজেদের ছবি রাখুন। একান্ত তা না হলে কোনও ভালো পেইন্টিং (Painting) লাগান। এই পেইন্টিং লাগাতেও বাস্তু মত মেনে চলুন।
সারাদিনের অফিসে কাজের চাপ। এর ওপর পরিবারে সমস্যা, সব নিয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত অবেগই। এই মাসিক চাপ কমাতে মেনে চলুর বাস্তু মত। বাড়ির ফাঁকা দেওয়ালে কোনও পরিবারে ফোটো লাগান। অথবা ও এমন কোনও ছবি লাগান। যা পরিবারে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এছাড়াও ফার্নিচার (Furniture) কেন্দ্রীর বাস্তু সব সময় মাথায়ছ বাস্তু শাস্ত্র মতে, ঘরের উত্তর (North) ও পূর্ব (East) দিকে হালকা আসবাব রাখুন। আর ভারী আসবাব অর্থাৎ বড় আলমারি বা ক্যাবিনেট রাখুন দক্ষিণ (South) বা পশ্চিম (West) দিকে। বাস্তু শাস্ত্র মতে, সঠিক ভাবে ঘর গোছালে তবেই সুখ শান্তি বজায় থাকবে। এছাড়া, বাস্তু যেমন আর্থিক ক্ষতি রোধে সাহায্য করে, তেমনই মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখে।