সংক্ষিপ্ত
আগামী ২ নভেম্বর পালিত হবে ধনতেরাস। প্রায় প্রতিটি গয়নার দোকানে মজুরীর উপর মিলবে বিশেষ ছাড়। দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার পাশাপাশি নতুন গয়না কেনার জন্য দোকানে ভিড় জমাবেন গৃহলক্ষ্মীরা।
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। ঘরে ঘরে যেন উৎসবের মতই পালিত হয় ধনতেরাসও (Dhanteras)। তবে শুধু আম বাঙালিই নয়, ভিন্নধর্মের মানুষের মধ্যেই ধনতেরাস পালনের ধুম দেখা যায়। মা, দিদিমা থেকে শুরু করে জেন ওয়াই(GEN Y) সকলেই গা ভাসায় নতুন জিনিস কেনার আনন্দে। চোখে পড়ার মত ভিড় উপচে পরে সোনা গয়নার দোকানে(GOLD SHOP)।
আরও পড়ুন, পুজোর সময় এই একটি জিনিস ব্যবহার করুন, দেখবেন ম্যাজিকের মত ফল পাচ্ছেন
বলা বাহুল্য, উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তরা ধনতেরাসে(DHANTERAS) গয়নার মজুরীতে আকর্ষণীয় ছাড়ে(REBET) আকৃষ্ট হলেও অনেকর কাছে হয়ত ঘরে শুধু মাত্র নতুন জিনিসটুকু তোলাই নিয়মানুসারে বাঞ্ছনীয়। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই শুরু হবে ধনতেরাসের(DHANTERAS) কেনাকাটা। কি কারনে এই ধনতেরাস পালিত হয়, ধনতেরাসের পিছনের ইতিহাসটাও (HISTORY) তো জানা প্রয়োজন। তাই ধনতেরাসের(DHANNTERAS) আগে এই দিনের খুঁটিনাটি আপনাদের জন্য। উৎসবের মরশুমে(FESTIVE SEASON)নতুন মাত্রা যোগ করে ধনতেরাস। আগামি ২ রা নভেম্বর প্রায় প্রতিটি গৃহস্থ বাড়িতে পূজিত হবেন ধনসম্পদের দেবী কুবের(KUBER) ও লক্ষ্মী (LOKKHI)। সোনা গয়না হোক বা নতুন ধাতু (NEW METAL) বা কোনও নতুন জিনিস কিনে ধনতেরাসের শুভলগ্নে দেবীর লক্ষ্মীর আগমনের কামনা(PRAYER) করা হবে। পুরাণের কাহিনী অবলম্বনে যুগে যুগে কম বেশী প্রতিটি ঘরে মহাসমারোহে পালিত হয় ধনতেরাস। যে কোনও ধরনের ধাতু কেনাকেই শুভ বলে মনে করা হয়। ধাতুর জৌলুসেই দেবী লক্ষ্মীর আগমন ঘটে বলে মনে করা হয়। দিওয়ালীর আগেই শুরু হয়ে যায় ধনতেরাসের সাজসাজ রব। প্রায় চার পাঁচ দিন ধরে চলে ধনতেরাসের ধামাকা অফার(DHAMAKA OFFER)। চলতি বছরের ধনতেরাসও(DHANTERAS) কড়া নাড়ছে দোড়গোড়ায়। ৪ঠা নভেম্বর দিওয়ালির(DIWALI) ঠিক আগেই আগামি ২রা নভেম্বর পালিত হবে ধনতেরাস।
আরও পড়ুন, শুক্রবারে ৪ রাশির শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, দেখে নিন আপনার রাশিফল
এবার আসা যাক ধনতেরাসের ইতিহাসের(HISTORY) কথায়। আর সেই ইতিহাস(HISTORY) খুঁজতে গেলে যেতে হবে পুরাণের গভীরে। এই বিশেষ দিনে একই সঙ্গে পূজিত হন ধনসম্পদের দেবতা কুবের ও মা লক্ষ্মী। কথিত আছে স্বর্গরাজ্য থেকে দুর্বাশা মুনির অভিশাপে লক্ষ্মীদেবীকে তাড়িয়ে দেওয়া হলে তিনি সাগরে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। এরপর রাক্ষসদের সঙ্গে লড়াই করে দেবতারা তাঁদের লক্ষ্মীকে ফিরে পান। তবে পৌরাণিক কাহিনী মতে অনেকে আাবার বলেন, রাজা হিমের ভাগ্যে নাকি লেখা ছিল বিয়ের চতুর্থ রাতে সর্প দংশনে তাঁর মৃত্যু হবে। তাই তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী দোড়গোড়ায় প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁর যাবতীয় গয়না(JEWELLERY) রেখে দেন যাতে যমরাজ প্রবেশ করলেই সোনার অলংকারের ছটায় চোখ ধাধিয়ে যায়। আর সেই দিন থেকেই শুরু হয় কুবের ও লক্ষ্মীর আরাধনা।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে