Arup Dey

শাসক বিরোধী তরজায় উত্তপ্ত রাজ্য বিধানসভা। নজিরবিহীনভাবে শাসক ও বিরোধী  উভয় দলের সদস্যরাই কক্ষ ত্যাগ করলেন। প্রথমে বিজেপি রাজ্য সরকারির দুর্নীতির বিরুদ্ধে আলোচনার জন্য মুলতুবি প্রস্তাব আনে। কিন্তু সেই সেই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। তারপরই বিজেপি সদস্যরা 'চোর ধরো জেল ভরো' স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত  ওয়াকআউট করে।  তার কিছুক্ষণ পরেই বিধানসভা ত্যাগ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়। সবশেষে বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসও।

‘ডোন্ট টাচ মাই বডি’ মন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য। মহিলা পুলিশ দিয়ে ঘিরে ধরে কেস দেওয়ার চক্রান্ত ছিল ভাইপোর! মারাত্মক অভিযোগ শুভেন্দুর। বুধবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে মারাত্মক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু। মহিলা পুলিশের প্রতি আচরণ নিয়ে বুধবার শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন অভিষেকও। তিনি বলেন, 'উনি বলেন মহিলাদের মা দুর্গা হিসেবে দেখি, তাহলে মহিলা পুলিশ গায়ে হাত দিলে আপত্তি কীসের? মহিলাদের মা দুর্গা বললে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ কেন?' এর পরই বুধবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে গতকালের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন শুভেন্দু।

কীভাবে খুন করা হয়েছিল অতনু-অভিষেককে, ঘটনার পুর্ননির্মাণ করে দেখাল সত্যেন্দ্র। এদিন হাড়োয়ার কুলটি এলাকায় যেখানে দশম শ্রেণীর ছাত্র অতনু দের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল প্রথমে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয় সত্যেন্দ্র সহ বাকি অভিযুক্তদের। ন‍্যাজাট থানার বাসন্তী হাইওয়ের শিরিষতলায় অপর এক ছাত্র অভিষেক নস্করের মৃতদেহ পড়েছিল। বুধবার সেখানেও নিয়ে যাওয়া হয় সত্যেন্দ্রকে। কীভাবে দুই ছাত্রকে খুন করে এদিন তা সত্যেন্দ্রের কাছে বিশদে জানতে চান তদন্তকারীরা। একই সঙ্গে তাঁর বয়ান ও ঘটনার পুর্ননির্মাণ, পুরোটাই ক্যামেরাবন্দি করেন তদন্তকারীরা। 

'চাইলে পুলিশ গুলি চালাতেই পারত, কিন্তু সংযম দেখিয়েছে', বিজেপি-র নবান্ন অভিযান নিয়ে মমতার মন্তব্য। পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'পুলিশ সংযত ভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। আন্দোলনের নামে বেআইনি কার্যকলাপ বরদাস্ত নয়। সমাজবিরোধীমূলক রাজনীতি করলে পুলিশ পুলিশের মতো ব্যবস্থা নেবে।'

'আমি থাকলে মাথার উপরে শুট করতাম' আক্রান্ত ACP-র ধৈর্যকে কুর্নিশ জানিয়ে অভিষেকের মন্তব্য। অভিষেক বলেন, 'দেবজিৎ বাবুকে বললাম, আমি আপনাকে স্যালুট জানাই, আপনি কিছু করেননি। আপনার জায়গায় যদি আমি থাকতাম, আমার সামনে যদি পুলিশের গাড়িতে আগুন জ্বলত, আমি মাথার উপরে শুট করতাম।' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় SSKM-এ গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিককে দেখে, বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, 'পুলিশের কাছে সহজ উপায় ছিল। পুলিশ তো কাল পারত, গুলি চালাতে। এটাই পরিবর্তন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ধৈর্য, সংবেদনশীলতা, সংযমের পরিচয় দিয়েছে।' 

হস্তি শাবকের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য। বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের বড়জোড়া রেঞ্জ এলাকার ঘটনা। কয়েকটি শাবক সহ ৪২ টি হাতির একটি দল ওই এলাকায় রয়েছে। আজ সকালে একটি হস্তি শাবক মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক অনুমান ইলেকট্রিক শকেই মৃত্যু হয়েছে শাবকটির। তবে ময়না তদন্তের পরই সব জানা যাবে। শাবকটিকে ময়না তদন্তের জন্য বেলিয়াতোড় ফরেস্ট অফিসে পাঠান হয়েছে। 

চোর সন্দেহে গণপ্রহার। ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে বেধড়ক প্রহার। পুরাতন মালদার পৌরসভা অফিসের পাশে সবজি বাজারের ঘটনা। মোবাইল চুরি করতে গিয়ে হাতে-নাতে ধরা পরে যায় এক যুবক, আরও দুজন পালিয়ে যায়। এরপর মোবাইল চুরি সন্দেহে ইলেকট্রিক খুঁটিতে বেঁধে মারধর। ঘটনাস্থলে মালদা থানার পুলিশ যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় হাসপাতালে। জানা গেছে ওই যুবকের বাড়ি বর্ধমান জেলার আসানসোলে। কয়েকদিন আগেই এই বাজারে আরও দুটি মোবাইল চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। 

প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্নায় প্রেমিকা। এবার মালদহের রতুয়ায় ধর্নায় প্রেমিকা। তরুণীর বাড়ি মালদারই মানিকচক-এ৷ সোমবার বিকেল থেকেই তিনি প্রেমিকের বাড়ির সামনে বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেছেন৷ বিয়েবাড়িতে তাঁর সঙ্গে রতুয়ার এক যুবকের পরিচয় হয়৷ সেই পরিচয় থেকে প্রেম৷ তাঁদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল৷ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার সহবাসও করেন প্রেমিক। সোমবার বিয়ে করার কথা বলে ওই তরুণীকে বাড়িতে ডাকেন যুবক। সেই মতো সোমবার বিকেলে প্রেমিকের বাড়িতে পৌঁছলে প্রেমিকের দেখা পাননি তরুণী। 

'পুলিশের গাড়ি যখন জ্বলছিল, তখন পুলিশ কোথায় ছিল', প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের। পুলিশের গাড়ি জ্বালানোর পিছনেও চক্রান্ত আছে বললেন দিলীপ ঘোষ। বুধবার সকালে বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, পেট্রল হাতে যাঁরা আগুন ধরিয়েছেন তাঁরা সকলে বাইরের লোক। তিনি পুলিশের অতিসক্রিয়তার প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, 'শান্ত কর্মীদের উত্তেজিত করে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানো হয়েছে'। বড়বাজারে পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় দায়ের হয়েছে এফআইআর।

বিজেপির নবান্ন অভিযান কর্মসূতে গুরুতরভযবে জখম কলকাতা পুলিশের অন্তত ৩০ জন কর্মী। শুধু তাই নয় রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় কলকাতা পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার  দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার দুপুরে নেটমাধ্যমে ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় এমনই দৃশ্য দেখা যায়। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় বিভিন্ন মহলে। পুলিশের অভিযোগ আক্রমণকারীরা বিজেপির কর্মী-সমর্থক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি কলকাতা পুলিশের এসি দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। বড় বাজার থানায় এই মর্মে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।