Arup Dey

রাস্তায় ঢোল বাজিয়ে অনুব্রত গ্রেফতারের প্রচার সিপিএমের। কলকাতার নিউটাউনের রাস্তায় 'তৃণমূলের গরু চোর ধরা পড়েছে' স্লোগান সিপিএমের। 'শুনুন শুনুন তৃণমূলের গরু চোর অনুব্রত মণ্ডল ধরা পড়েছে'। এরই সঙ্গে নকুলদানা বিলি করা হয়। জেলা জুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই ধরনের প্রচার করে কটাক্ষ করছে শাসকদলকে। 

অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হতেই 'চড়াম চড়াম' ঢাকের শব্দ মেদিনীপুরে।  গুড়, বাতাসা ও নকুলদানা মানুষের মাঝে বিলি করল বিজেপি কর্মীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরের পঞ্চুর চক মোড়ে অভিনব প্রচার বিজেপির। এক সময়ে 'চড়াম চড়াম', গুড়-বাতাসা অনুব্রতর উক্তি ছিল। সেই উক্তিকেই কেন্দ্র করে বিজেপির এই অভিনব প্রচার। 'বল হরিবোল' বলে অনুব্রতর ছবিতে নকুলদানা দেওয়া হয়। রাখি বন্ধন উৎসবে মিষ্টি মুখ করতে বাতাসা ও নকুলদানা দিলেন পথ চলতি মানুষদের। 

অনুব্রতর গ্রেফতারিতে মুখ খুললেন তৃণমূলের সৌগত রায়। সৌগত রায় বলেন, 'অনুব্রতকে সিবিআই ডাকছিল, কিন্তু শরীর খারাপের জন্য যেতে পারেনি। এখন গ্রেফতার করেছে বিষয়টি আইনে চলে গিয়েছে। তবে অনুব্রত ভাল সংগঠক ছিলেন দলের। ওঁর বিরুদ্ধে ঠিক কী বক্তব্য সেটা আমরা এখনও জানি না। চার্জশিটে ওঁর নাম ছিল না। দল পরে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। মেডিকেল গ্রাউন্ডে ও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে একাধিকবার। সেটা যদি গ্রেফতারের কারণ হয়। কিন্তু একটা অসুস্থ লোককে জোর করে এভাবে নিয়ে যাওয়াটা ঠিক নয়।'

গরু পাচার মামলায় CBI-এর হানা অনুব্রতর বাড়িতে। এলাকা ঘিরে রাখল ৬০ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। অনুব্রত-র ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের বের করে দেওয়া হল বাইরে, ঘরে ঢুকে তালা দিল সিবিআই। অনুব্রত মণ্ডলের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের ফোন বাজেয়াপ্ত করল CBI, এরপরেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করে CBI এরপর অনুব্রতকে নিয়ে রওনা দেয় CBI টিম।

ঝুলন যাত্রাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় শিলিগুড়ির যুবক। দেড় মাস ধরে পরিশ্রম করে এই ঝুলন তৈরি করেছেন। এই ঝুলনে নাগরদোলা ঘুরছে, লেড বাল্ব দিয়ে সাজিয়েছেন রাস্তা। সিমেন্ট ও তুলো দিয়ে পাহাড় তৈরি করা হয়েছে। ছোট ছোট পুতুল দিয়ে সাজান হয়েছে পুরো জায়গাটি। এই প্রজন্মের বাচ্চারা ভুলেই গেছে 'ঝুলন' কি। তার এই প্রচেষ্টা দেখে আগামী দিনে সবাই ঝুলন করুক, আবার সবাই পুরানো দিনে ফিরুক, এটাই উজ্জ্বলের ইচ্ছা। 

অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'অনুব্রত মণ্ডল হল মাফিয়া। মমতার প্রশয়ে আশ্রয়ে রয়েছেন। যে কি না মুদির দোকান থেকে মাগুড় মাছ বিক্রি করতেন সে এখন এক হাজার কোটির মালিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টি এসব। ভোট পরবর্তী সময়ে অনেক খুনও হয়েছে এঁদের নিশানায়। মুড়ির টিনে যাঁদের যাঁদের টাকা পাঠিয়েছেন সেই নামগুলো বলবেন এবার এটাই আশা রাখি।'

সদ্য জেলা সভাপতির হুঁশিয়ারি। কাজ না করলে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ তৃণমূল জেলা সভাপতির। বনগাঁ তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস-এর হুঁশিয়ারি। দলে থেকে কাজ না করলে, দল থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ঘর থেকে বেরিয়ে এলাকায় যান দলের জন্য মানুষের জন্য কাজ করুন। নতুন সভাপতির এই বার্তাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, এদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আছে এবং থাকবে। 'দলটা চোরেদের দল, এখন কেউ আর তৃণমূল করবে না'। তিনি বলেন, গোটা দলটাই চোরেদের দল। 

তৃণমূলের মন্ত্রীদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে আজ সাংবাদিক সন্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। 'রোজগার করা, সম্পত্তি বাড়ানো অন্যায় নয়’ বলেছিলেন ফিরহাদ। তার পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, এত ভয় পাচ্ছেন কেন। 'তৃণমূলের পঞ্চায়েত স্তরের নেতাদেরও সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে'। 'নোট বদলের সময় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তার স্ত্রীর নামে ৪ কোটি টাকা নোট বদল করেছে'। 'পূর্ব মেদিনীপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ১৫ কোটি টাকা নোট বদল করেছেন'। 'এই টাকা এসেছে কোথা থেকে, কার টাকা এটা'। 'সুপারভাইজার, নির্মাণ সহায়ক, প্রধান এরা কোটি কোটি টাকার মালিক'। '২০১৬ থেকেই এদের সম্পত্তি বেড়েছে'। 

প্রায় ২ বছর ধরে মুক্তির প্রতীক্ষায় রয়েছে ধর্মযুদ্ধ। লকডাউনের জন্য বারবার ধর্মযুদ্ধের মুক্তি পিছোয়। রাজ চক্রবর্তী প্রোডাকশনের ছবি ধর্মযুদ্ধ। মূল চরিত্রে রয়েছেন শুভশ্রী, পার্ণো, ঋত্ত্বিক, স্বাতীলেখা। ধর্মযুদ্ধ মুক্তির আগে মুখোমুখি ঋত্ত্বিক চক্রবর্তী। আলাপচারিতায় ছবি নিয়ে জানালেন অনেক কথা। 

নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় এবার গ্রেফতার এসএসসির ২ প্রাক্তন উপদেষ্টা। শান্তি প্রসাদ সিন্হা ও অশোক সাহাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। '৩০০০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে যুক্ত তৃণমূল', বিস্ফোরক মন্তব্য শুভেন্দু-র। 'আমি হিসেব দিয়ে বলেছি, ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যে ৭৫ হাজার অ্যাপয়েন্টমেন্ট হয়েছে তার মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার বিক্রি হয়েছে। এমনকী SSC-র চাকরির জন্য অ্যাপ্লাই না করেও চাকরি পেয়েছেন অনেকে।''দালাল চক্র গুলিকেও ধরা উচিৎ সিবিআই-ইডি-র'। 'মুখ্যমন্ত্রী একুশের নির্বাচনে সব জায়গায় বলেছেন, ২৯৪ টা সিটে আমিই প্রার্থী, অতএব, মালের দায়িত্বতো আরোহীকে নিতেই হবে'।