Arup Dey

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত থাকবে সিবিআই-এর হাতে। কলকাতা আদালত এই রায় দিতেই সক্রিয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন আদালতের নির্দেশের পরই সিবিআই-এর একটি দল পৌঁছে যায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদরের অফিসে। শুরু হয় তল্লাশি। সূত্রের খবর টেট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই  পর্ষদের অফিসে হানা দেয় সিবিআই। প্রয়োজনীয় নথিও সংগ্রহ করবে তারা। 

বয়স মাত্র ২২ মাস। এর মধ্যেই বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলে ফেলেছে খুদে অদৃশা। মুখে যেন খই ফুটছে। অ,আ থেকে ক,খ ফুল ফল পাখির নাম, সাধারণ জ্ঞানও সব তাঁর মুখস্থ। আর এই প্রতিভাতেই নাম উঠেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে। নদিয়ার কৃষ্ণনগর মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা ছোট্ট অদৃশা অধিকারী। বাবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, মা টিউশনি করেন। অদৃশার এমন সাফল্যে গর্বিত পরিবার থেকে প্রতিবেশিরা।

ভারতীয় নৌসেনা অবশেষে দাসত্বের চিহ্ন থেকে মুক্তি পেল। নৌবাহিনীর পতাকার নতুন চিহ্ন উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নৌবাহিনীর নতুন পতাকা থেকে ক্রসটি সরানো হয়েছে। এছাড়াও পতাকায় আবারও নৌ ক্রেস্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাতে লেখা- শাম ন বরুণ:। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, আজ নৌসেনা তার বুক থেকে দাসত্বের চিহ্ন মুছে দিয়েছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনীর কাছে আইএনএস বিক্রান্ত হস্তান্তর করেন।

গরু পাচার কাণ্ডে সাক্ষ্য দেওয়ায় বৃদ্ধকে হাসুয়ার কোপ। গুরুতর জখম অবস্থায় বৃদ্ধ ভর্তি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার মাথায় ধারাল হাঁসুয়ার কোপ মারার অভিযোগ। মালদার বামনগোলা থানার শ্যামলী পাড়া গ্রামের ঘটনা। আহতের নাম নরুল ইসলাম সরকার। অভিযোগ, জয়পুর ইসলাম, নরুল শেখ দীর্ঘদিন ধরে গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তাদের নামে বামগোলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ জয়পুর ইসলাম ও নরুল শেখের বাড়িতে তদন্তে যায়। পুলিশ আসার খবর শুনে দুই অভিযুক্তই পালিয়ে যায়। প্রতিবেশী নরুল ইসলাম সরকার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযুক্তরা নরুল ইসলাম সরকারের উপর হামলা করে। গুরুতর জখম হন নরুল ইসলাম সরকার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বামনগোলা থানার পুলিশ। 

সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ED-র  অফিসে পৌঁছলেন অভিষেক। অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দিল্লি থেকে আধিকারিকেরা এসে পৌঁছেছেন কলকাতায়। কয়লা-কাণ্ডে বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে অভিষেকের বিরুদ্ধে। এর আগে দিল্লিতে ED-র সদর দফতরে তলব করে দুবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে।

রণতরীর উদ্বোধন করে মোদী বলেন ভারতীয় নৌবাহিনী তাদের দ্বিতীয় এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার পেয়েছে। এই রণতরী দেশের গর্ব। ভারতের আত্মনির্ভরতার পথে অন্যতম মাইলফলক। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডে আইএনএস বিক্রান্তকে জাতির সেবায় উৎসর্গ করেন।

বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে UNESCO পদযাত্রার মাধ্যমে তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আজ থেকে পুজো শুরু হয়ে গেল। ঢাকের বাদ্যি শুরু হয়ে গেল।' মুখ্যমন্ত্রী UNESCO-র  প্রতিনিধিদের স্ট্যান্ডিং ওভেশন দিতে বলেন সেখানে উপস্থিত সকলকে। ‘মানবতা আমাদের ধর্ম’, সংহতির বার্তা দিয়ে রেড রোড থেকে পুজো শুরুর ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। 'যে যেমন ভাবে পারুন আনন্দ করুন। হৃদয়কে বড় করুন।' মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ধর্ম সবার নিজের। কিন্তু উৎসব সবার। কেউ হিন্দু, কেউ মুসলিম, কেউ শিখ, কেউ জৈন, কেউ বৌদ্ধ। কিন্তু উৎসব সবার। আমাদের একটাই ধর্ম মানবতা। ঐক্য আমাদের শক্তি। আমরা ঐক্যবদ্ধ।'

UNESCO-র  ধন্যবাদজ্ঞাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সৌরভ বলেন, 'আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। আমাদের কাছে দুর্গাপুজো কী, ভাষায় বলে বোঝানো কঠিন।' 'সকলের দুর্গাপুজো দেখা উচিত এটা বিশ্বাস করার জন্য যে, দুর্গাপুজো কত বড় হয়। পুজোর ওই ৫ দিন শহর পুরো পাল্টে যায়। UNESCO-কে ধন্যবাদ জানান সৌরভ। বলেন, 'এই পুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য UNESCO-কে ধন্যবাদ। প্রাপ্য সম্মান পেয়েছে দুর্গোৎসব।'

বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে UNESCO ধন্যবাদ জানিয়ে আজ পদযাত্রা কলকাতার রাজপথে। নাচে-গানে তুলে ধরা হল বাংলার সংস্কৃতি, পদযাত্রার শেষে নাচের অনুষ্ঠান। একাধিক সংবর্ধনায় ভূষিত করা হল UNESCO-র প্রতিনিধিদের। এদিন মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিনিধিরাও সম্বর্ধনা জানান UNESCO-র  প্রতিনিধিদের। এদিন মুখ্যমন্ত্রী একটি দুর্গা মূর্তি তুলে দিলেন UNESCO-র প্রতিনিধিদের হাতে সঙ্গে দিলেন কবিগুরু'র লেখা বই।

দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দেওয়ায় UNESCO-কে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ পদযাত্রা কলকাতার রাজপথে। রাস্তায় নামলেন বিশিষ্টরা। ক্লাবগুলোর সঙ্গে সঙ্গে রাজপথে দেখা গেল মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সমর্থকদের। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির কাছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ থেকে শুরু হয়ে কলুটোলা, বউবাজার, চাঁদনি চক, ডোরিনা ক্রসিং, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ হয়ে পদযাত্রা পৌঁছল রেড রোডে। ঢাকের বোলে, শঙ্খধ্বনিতে, ছৌ ও মুখোশ নাচে মেতে উঠলেন সবাই।