Maruti Suzuki: বিরল মৃত্তিকা খনিজের ঘাটতির কারণে মারুতি সুজুকি তাদের ই-ভিটারার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে। চীনের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণই এই ঘাটতির জন্য দায়ী। ২৬,৫০০ থেকে ৮,২০০ ইউনিটে নেমে এসেছে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা।

Maruti Suzuki: বিরল মৃত্তিকা খনিজের ঘাটতির কারণে মারুতি সুজুকি তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি ই-ভিটারার দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ কমিয়ে দিয়েছে বলে খবর। চীনের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের ফলে গাড়ি শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার এটিই সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৬,৫০০ ই-ভিটারা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু নতুন পরিস্থিতিতে প্রায় ৮,২০০ ই-ভিটারা তৈরির পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে রয়টার্সের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে।

এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন মন্তব্য করেনি সংস্থাটি

সপ্তাহের শুরুতে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান আর সি ভার্গব বলেছিলেন, বিরল মৃত্তিকা চুম্বকের ঘাটতির কারণে বর্তমানে সংস্থার উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এপ্রিলের ৪ তারিখে চীনা সরকার বিরল মৃত্তিকা মৌল এবং সংশ্লিষ্ট চুম্বকের রপ্তানির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করার পর থেকে দেশীয় গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলি বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সাতটি গুরুত্বপূর্ণ বিরল মৃত্তিকা মৌল রপ্তানির জন্য বিশেষ লাইসেন্সের প্রয়োজন।

২০২৬ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে ৬৭,০০০ বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা এখনও বজায় রেখেছে মারুতি, রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। কিছু বিরল মৃত্তিকার রপ্তানিতে চীন যে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে তা বিশ্বব্যাপী গাড়ি শিল্পকে নাড়িয়ে দিয়েছে এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে বলে সংস্থাগুলি আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। 

আমেরিকা, ইউরোপ এবং জাপানের কিছু সংস্থা বেইজিং থেকে লাইসেন্স পেয়ে সরবরাহে কিছুটা স্বস্তি পেলেও, উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ভারত এখনও চীনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়িতে (ইভি) ব্যবহৃত পার্মানেন্ট ম্যাগনেট সিনক্রোনাস মোটরে (পিএমএসএম) বিরল মৃত্তিকা চুম্বক অপরিহার্য। এগুলি উচ্চ টর্ক, শক্তি দক্ষতা ইত্যাদিতে সাহায্য করে। দক্ষ প্রোপালশনের জন্য হাইব্রিড গাড়িগুলিও এই চুম্বকের উপর নির্ভরশীল। বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি বিরল মৃত্তিকা চুম্বক প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা চীনের নিয়ন্ত্রণে।

জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ভারতের গাড়ি প্রদর্শনীতে ই-ভিটারা বেশ আলোচিত ছিল। দেশে মারুতির ইভি অভিযানের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর মোট গাড়ি বিক্রির প্রায় ২.৫% ছিল ইভি, যা ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০% করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।