সংক্ষিপ্ত

  • বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ভয়াবহ ফেরি দুর্ঘটনা
  • একটি লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগল আরেকটি  লঞ্চের
  • এরফলে প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে গেল একটি লঞ্চ
  • ফেরি দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকেই

বাংলাদেশে  ভয়াবহ ফেরি দুর্ঘটনা। রাজধানী ঢাকার কাছে বুড়িগঙ্গায় যাত্রীবাহী একটি লঞ্চ ডুবে যায়। যাতে এখনও পর্যন্ত ৩০টি দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। লঞ্চটিতে প্রায় পঞ্চশদনের মত যাত্রী ছিলেন।  ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: নিয়য়ন্ত্রণরেখায় চিন এনেছে মার্শাল আর্ট ফাইটার, জবাব দিতে প্রস্তুত ভারতের 'ঘাতক' কম্যান্ডো বাহিনী

 উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে  বাংলাদেশ  ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ড।  সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ  অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে বুড়িগঙ্গায়  ডুবে যায় এমএল মর্নিং বার্ড নামের একটি লঞ্চ।

এমএল মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি এলাকা থেকে প্রায় পঞ্চাশজনের মত যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়। সদরঘাটের কাছেই ফরাসগঞ্জ ঘাট এলাকাতে গিয়েই লঞ্চটি ডুবে যায়। অন্য একটি জলযানের সঙ্গে ধাক্কা লেগেই ঘটে এই বিপত্তি। জানা যাচ্ছে ঢাকার সদরঘাটের শ্যামবাজার প‌য়ে‌ন্টে ময়ূর-২ নামের লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় মর্নিং বার্ড। 

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে কোনঠাসা বিচ্ছিন্নবাদীরা, জল্পনা বাড়িয়ে দল থেকে পদত্যাগ হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক জানান, ময়ূর ২ নামের একটি লঞ্চ সদরঘাট লালপট্টি থেকে চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই লঞ্চ মর্নিং বার্ডকে ধাক্কা দেয়। এতে মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।

 খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্ট গার্ড। তাদের সঙ্গে উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছেন স্থানীয়রাও। এখন পর্যন্ত ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ২ জন শিশুর লাশ রয়েছে।  এদিকে লঞ্চডুবির খবর পেয়ে শ্যামবাজার এলাকায় ছুটে আসছেন স্বজনরা। তাদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।