সংক্ষিপ্ত

পুজোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের কুমিল্লা, চট্টোগ্রাম, চাঁদপুর নোয়াখালিসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় অশান্তি তৈরি হয়েছে। যা সাম্প্রদায়িক হিংসার রূপ নিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ৩১জন লেখক, কবি ও সাহিত্যিক। 

দূর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের (Bangladesh) কুমিল্লা, চট্টোগ্রাম, চাঁদপুর নোয়াখালিসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় অশান্তি তৈরি হয়েছে। যা সাম্প্রদায়িক হিংসার রূপ নিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ৩১জন লেখক, কবি ও সাহিত্যিক। বিবৃতি প্রকাশ করে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের তরফ থেকে বলা হয়েছে কুমিল্লার একটি পূজা মণ্ডপে পবিক্র কোরান রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু প্রশাসন যদি এই ঘটনার পর আরও বেশি তৎপর হত তাহলে হাজীগঞ্জসহ অন্যত্র এজাতীয় ঘটনা ঘটত না। শনিবার একটি বিবৃতি প্রকাশ করে গোটা ঘটনার নিন্দা করেছেন তাঁরা। 

বিবৃতিতে কুমিল্লার ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে কোনও সাম্প্রদায়িত গোষ্টা রাজনৈতিক সুবিধের জন্য এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। বলা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে হিংসার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীদের পাতা ফাঁদে সাধারণ মানুষও পা দিয়েছে। 

বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিরা কুমিল্লার ঘটনার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁদের দাবি জনগণ যদি সচেতন হত তাহলে  এজাতীয় ঘটনা ঘটত না। জনগণকে সচেতন করা রাষ্ট্রের কর্তব্য বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবিরা বলেছেন সাম্প্রদায়িকতা একটি জাতীয় সমস্যা। এটি দূর করার জন্য ধারাবায়িক আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এই আলোচনায় সর্বস্তরের মানুষকে সামিল করারও আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। 

বিবৃতিটি দিয়েছেন, ইমতিয়ার শামীম, শাহনাজ মুন্নী, আহমেদ মোস্তাফা কামাল, কবির হুমায়ূন, শমীম রেজা,টোকন ঠাকুর, রাজীব নূর, পিয়াস মজিদ প্রমুখ। যদিও বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন এজাতীয় ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।