সংক্ষিপ্ত
- ভারতের মত দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশেও
- দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার পেরিয়েছে
- এই পরিস্থিতিতে লকডাউন তুলে দিল বাংলাদেশ
- রবিবার থেকেই গণপরবহন চলতে শুরু করেছে দেশটিতে
করোনা সংক্রমণে কাবু প্রতিবেশী বাংলাদেশেও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারণ ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। যা কোভিড ১৯ রোগে বাংলাদেশের একজিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। শেখ হাসিনার দেশে বর্তমানে করোনা সংক্রমমে মৃতের সংখ্যা ৬৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতিতে জানান হয়েছে, দেশটির ৫২টি ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১,৮৬৭ জনের নুমনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ২,৫৪৫ জনের। ফেল বাংলাদেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭,১৫৩।
বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর দেখা মেলে ৮ মার্চ। আর ১৮ মার্চ প্রথম কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এদিকে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও গক রবিবার থেকে দেশে সবিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। লকডাউন চলার ৬৬ দিন পর ফের বাংলাদেশে চলাচল শুরু করেছে গণপরিবহন। খুলে গিয়েছে অফিস-কাছারিও। ঢাকার রাস্তায় দেখা যেতে শুরু করেছে যাটজনও। তবে এর মাঝেই যাতে সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তার জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
সরকারি নির্দেশিকায় জানান হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যে বাড়ির বাইরে চলাচলরত অবস্থায় ব্যক্তিকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মনে চলতে হবে। কোনো ব্যক্তি এই আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সংক্রমণ আইন–২০১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই ঘোষণার ফলে মাস্ক না পরলে ১ লক্ষ টাকার জরিমানা করা হবে অথবা জেলে থাকতে হবে ৬ মাস। কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয় দণ্ডেই দণ্ডিত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধির অন্য যে কোনো একটি না মানলে দেওয়া হবে ৩ মাসের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। এক্ষেত্রেও উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া রাত ৮ টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত অতিপ্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার ব্যাপারেও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।