সংক্ষিপ্ত
- ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টা
- দোষী সাব্যস্ত ১৪ জন ইসলামি সন্ত্রাসবাদাী
- মৃত্যুদণ্ডের সাজা বাংলাদেশের আদালতের
- ফারারিং স্কোয়াডে গুলি মৃত্যুর নির্দেশ
২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টা করায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১৪ জন ইসলামি সন্ত্রাসবাদীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল বাংলাদেশের আদালত। মঙ্গলবার সে দেশের বিশেষ ফাস্টট্র্যাক ট্রাইবুনাল আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। আদালত বলেছে ফারারিং স্কোয়াডে গুলি করে অপরাধীদের সাজা কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশ আদালত জানিয়েছে আইনি জটিলতা তৈরি হল প্রয়োজনে অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়া যেতে পারে। বিচারক অবু জাফর মহম্মদ কামরুজ্জামান মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছেন। তিনি বলেন এ ধরনের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে সেজন্য দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন তিনি।
সাজাপ্রাপ্তরা সকলেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকতুল জিহাদ বাংলাদেশ-এর সদস্য। ২০০০ সালে ২০স জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া এলাকায় শেখ লুৎফর রহমান কলেজ সংলগ্ন এলাকায় একটি নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন হাসিনা। সভামাঠের কাছেই একটি চায়ের দোকানে ১০০ কোজি বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখেছিল সন্ত্রাসবাদীরা। কিন্তু পুলিস সে যাত্রায় পরিস্থিতি সামাল। বড়সড় নাশকতার হাত থেকে বেঁচে যান হাসিনা। প্রাণ বাঁচে অনেক মানুষেরও।
মাত্র ৫ দিনেই ৫০ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছ, করোনাভাইরাসের ব্রিটেনের জিন আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ...
ভোট চাইতে এসে আর ঠিক কী কী করবেন, দেখুন তামিল প্রার্থীর প্রচারের সেই নাটকীয় ভিডিও ...
প্রায় দু দশক আগে দায়ের হওয়া ওই মামলায় হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা, ষড়যন্ত্র, দেশগ্রোহ ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। প্রায় ৫০ জন রাজসাক্ষীর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছিল। মামলা চলাকালীন ১৪ বছরের এক সাজাপ্রাপ্তকে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। ২০০৪ সালে ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হয়। সেই সময় ৩৪ জন সাক্ষীর বয়ান নেওয়া হয়। ১১ মার্চ শেষ হয়েছিল সাওয়াল জবাব। এদিন অর্থআৎ ২৩ মার্চ রায় ঘোষণা করা হয়। তবে সাজাপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট।