সংক্ষিপ্ত

রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধা নদীতে একটি ফেরিতে আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডে মাঝনদীতেই জ্বলতে থাকে গোটা ফেরিটি। 

মাঝনদীতে লঞ্চে আগুন। চোখের নিমেষে শেষ হয়ে গেল ৩৬টা তাজা প্রাণ (36 people died)। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০০ জন (200 injured)। শুক্রবার মধ্যরাতে রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের (Bangladesh) ঝালকাঠি জেলার (Jhalakathi district) সুগন্ধা নদীতে(Sugandha river) একটি ফেরিতে আগুন লাগে। এই অগ্নিকাণ্ডে মাঝনদীতেই জ্বলতে থাকে গোটা ফেরিটি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, শুক্রবার ভোর ৩টে নাগাদ বরগুনাগামী জাহাজ এমভি আভিজান দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছালে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। 

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা একটি ট্রলারে করে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। নদীর পাড়ে জড়ো হন স্থানীয় বাসিন্দারা। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালায় তৎপরতার সঙ্গে। কিন্তু নদীতে ভোরের ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার কাজ জটিল হতে থাকে। ফলে আহতদের উদ্ধার করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারীদের। 

দমকল সূত্রে খবর, ফেরির ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে প্রথমে। সেখান থেকেই গোটা ফেরিতে আগুন ধরে যায় মুহুর্তের মধ্যে। বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ফেরির ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে অনুমান করছে দমকল। বরিশাল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডেপুটি ডিরেক্টর ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়া ঘটনাস্থল থেকে অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আহতরা বর্তমানে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর এরপর ফেরিটি ঝালকাঠি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর ফেলে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আমির হোসেন জানান, গুরুতর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে ওই হাসপাতালেই।