সংক্ষিপ্ত

সিতরাং মোকাবিলায় তৈরি বাংলাদেশ প্রশাসন। খোলা হয়েছে ত্রাণশিবির। ১৩টি জেলায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন শেখ হাসিনা। 

সিতরাং আতঙ্ক আর বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুণছে বাংলাদেশের বরিশাল ও সংলগ্ন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে।  প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচাতে খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। সোমবার দুপুর পর্যন্ত শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা এলাকায় ত্রাণশিবিরগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। হাওয়া অফিসের পূ্র্বাভাস অনুযায়ী বরিশালের ত্রিকোন আইল্যান্ড ও সন্দীপ আইল্যান্ডের মধ্যবর্তী এলাকায়। কিন্তু প্রবল শক্তিশালী হওয়ার কারণে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী ১৩টি জেলায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় প্রশাসন। জারি করা হয়েছে সতর্কতা। জেলাগুলি হল - সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠিস ভোলা, পটুয়াখালি, নোয়াখালি, ফেনী, চট্টোগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশাল। 

সোমবার সকাল  থেকেই বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকা,  সুন্দরবন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। নিচু এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের দুর্যোগব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সোমবার সন্ধ্যে থেকেই উপকূলবর্তী জেলাগুলির আবহাওয়া খারাপ হবে। বৃষ্টির সঙ্গে বাড়বে ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার মঙ্গলবার ভোর ৬টায় এটি ল্যান্ডফল করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সিতরাং মোকাবিলার জন্য সবধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, ঘুর্ণিঝড়ড সিতরাং বাংলাদেশে আছড়ে পড়বে  এই খবর পাওয়ার পরই তৎপর প্রধানন্ত্রী। সর্বস্তরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। পুরো পরিস্থিতির দিকে তিনি নজর রাখছেন। জীবন ও সম্পদ রক্ষার সর্বাধিক প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আওয়ামিলিগের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলছেন। প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও সাহায্য যাতে দুর্গতা পায় তারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। দলের নেতা ও কর্মীদের সবথেকে খারাপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা একটি কন্ট্রোলরুম খুলেছেন। যেখান থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়া হবে। 

পশ্চিমবঙ্গে সিতরাং-এর প্রভাব

ঘর্ণিঝড় সিতরাং-এর প্রভাব এই রাজ্যে তেমনভাবে না পড়লেও উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস আনুযায়ী, কালীপুজোর দিন রাতে অর্থাৎ সোমবার রাতে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করবে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায়।  ঝড়ের প্রভাব সবথেকে বেশি পড়বে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ও দুই মেদিনীপুরে ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার।  কখনও কখনও তা ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারও হতে পারে। সোমবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় সিতরাং নিয়ে বৈঠক করেছেন আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন কালীপুজোর পরের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকবে এই রাজ্যে। মঙ্গলবার সকালে হাওয়ার গতিবেগ বেড়ে হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড় বা ঝোড়ো হাওয়ার দাপট কিছুটা কমবে। 

Cyclone Sitrang: শক্তি বাড়িয়ে দ্রুত আসছে ঘূর্ণিঝড় সিতরাং , মঙ্গলবার ভোরে বাংলা ছুঁয়ে ল্যান্ডফল বাংলাদেশে

খেলা শেষ ইমরান খানের! পাক নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ হাইকোর্টে

ঘুর্ণিঝড় সিতরাং-এর প্রভাবে রাত থেকেই বাড়বে ঝড়ের গতি, মঙ্গলবার ৯০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া