সংক্ষিপ্ত

পরীমণির জন্মদিন বরাবর স্বপ্নরঙিন। তাতে থাকে থিম পোশাক। তাতে থাকে রাতভর হুল্লোড়। এ বছর আর কী থাকবে? আগাম খবরে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।

ভেবেছিলেন এ বছর জন্মদিনের ধুমধাম থেকে দূরেই থাকবেন। ছেলে রাজ্য মাত্র দু’মাসের। তাকে সামলে প্রতি বছরের মতো আয়োজন অসম্ভব। একরত্তি সেই ভাবনা বদলে দিয়েছে। মঙ্গলবার দিব্যি কোলে চেপে পৌঁছে গিয়েছিল বাবা শরীফুল রাজের শ্যুটিং দেখতে! তার পরেই মনস্থির পরীমণির। জন্মদিনের হুল্লোড়ে দাঁড়ি টানবেন না। বাংলাদেশের প্রথম সারির নায়িকা সে কথা জানিয়েওছেন সেখানকার সংবাদমাধ্যমকে। তাঁর কথায়, ‘‘জন্মদিন থাকবে। জন্মদিনের আনন্দও হবে। রাজ্যকে নিয়েই বিশেষ দিন বিশেষ ভাবে পালন করব। ছেলের হাত ধরে কেক কাটব। এ বছর জন্মদিনের থিম পোশাকে সাদার উপরে জল রঙের আঁকিবুকি।’’ প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই দু’মাস জন্মদিন উদযাপনে মায়ের কোলে চেপে কেক কেটেছে রাজ্য।

যে দিন থেকে তিনি রুপোলি পর্দার তারকা সে বছর থেকেই তাঁর জন্মদিন, ২৪ অক্টোবর ছোটখাটো উৎসব! এ বছরেও আগাম তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েক আগেই নিজেই নিজেকে একটি দামী আই ফোন উপহার দিয়েছেন নায়িকা। বিশেষ দিনে তাঁর দিন শুরু হয় স্থানীয় অনাথ আশ্রমের শিশুদের সঙ্গে। গোটা সকাল তিনি ফুলের মতো বাচ্চাদের সঙ্গেই কাটান। কেক কাটেন। তাদের ভালমন্দ খাওয়ান। বিকেলে শুরু হয় পার্টি। পর্দার ‘প্রীতিলতা’র সেই পার্টিতে আমন্ত্রিত হওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন বাংলাদেশের তাবড় তারকা। রাতভর চলে উদযাপন। 

প্রতি বছর এক একটি থিমে সেজে ওঠেন পরী। সাজে তাঁর পার্টিও। কোনও বার তাঁর থিম ময়ূর। কোনও তিনি হয়ে ওঠেন বিমান সেবিকা। এ বছর কী ভাবে সাজবে জন্মদিনের পার্টি? ‘গুণিন’ ছবির নায়িকার মতে, সেটা তিনি স্বামী রাজের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করবেন। পরী আনন্দিত, চলতি বছরে তাঁর পরিবার বড় হয়েছে। নানার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রাজ, রাজ্য এবং শ্বশুরবাড়ির সবাই। এ বছর কেক কাটার সময় তাঁর পাশে অনেক ‘আপন জন’ থাকবেন। এ বছর তাঁর ঝুলিতে আরও খুশির খবর। তাঁর ‘মা’ ছবিটি সেন্সর বোর্ড থেকে মুক্তির ছাড়পত্র পেয়েছে। শীঘ্রই বড়পর্দায় মুক্তি পেতে চলেছে অরণ্য আনোয়ারের ছবিটি। এই ছবিটি করতে করতেই মাতৃত্বের কথা ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা।