সংক্ষিপ্ত

ইমরান খানের ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ মামলায় পাকিস্তান নির্বাচন কমিশের পাশে দাঁড়াল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। ইমরানের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। 
 

চরম দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছেন ইমরান খান। ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সোমবার প্রাক্তন পাক প্রধানমনন্ত্রী ইমরান  খান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছে। তোষাখানা মামলায় ইমরানের ওপর রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। বলা হয়েছিল আগামী পাঁচ বছর ইমরান খান পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের জন্য অযোগ্য। নির্বাচন কমিশনের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। 

ক্ষমতাসীন জোট সরকারের আইনপ্রণেতারা ইমরান খানের বিরুদ্ধে অগস্টে একটি মামলা দায়ের করেন। রাষ্ট্রীয় ভাণ্ডার তোষা

তোষাখানা থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে কেনা উপহার বিক্রি থেকে ইমরান খান কী পরিমাণ অর্থ পেয়েছেন বা আয় প্রকাশ করতে ব্যার্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। এই মামলার দীর্ঘ শুনানির পর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে 'ইমরান খান আর জাতীয় পরিষদের সদস্য নন। ' ইমরান খানের আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইন ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

ইসলামাবাদ হাইকোর্টের আবেদন জানিয়ে পাকিস্তান - তেহরিক -ই - ইনসাফ প্রধান তার আপিতে বলেছিল যে, শীর্ষ নির্বাচনী সংস্থার দুর্নীতিমূলক  কাজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বা লোকেদের অযোগ্য ঘোষণা করার কোনও ক্ষমতা নেই। পাশাপাশি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের রায়ে স্থগিত রাখে তারও আবেদন জানিয়েছিল। 

নির্বাচন কমিশনের রায় নিয়েও যথেষ্ট বিভ্রান্তি রয়েছে। পাঁচ বছরের জন্য ইমরানকে জাতীয় পরিষদের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এই কার্যকাল কখন থেকে শুরু হবে - তা নিয়ে কিছুই স্পষ্ট করে বলা নেই। বর্তমান সাংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ ধরা হবে নাকি কমিশনের রায় থেকে তা কার্যকর হবে তা স্পষ্ট করা নেই। কারণ বর্তমান জাতীয় পরিষদের মেয়াদ ২০১৮ সালে শুরু হয়েছিল। আর ২০২৩ সালে তা শেষ হবে। আর সেক্ষেত্রে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ইমরানের অযোগ্যতার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। 

ইমরান খান ২০১৮ সালে পাকিস্তানের মসনদে বসেছিলেন। সরকারি সফরের সময় তিনি ধনী আবর শাসকদের কাছ থেকে প্রচুর দামি দামি উপহার পেয়েছিলেন। যা জমা ছিল পাকিস্তানের তোষাখানায়। পরবর্তীকালে তিনি পাকিস্তানের তোষাখানার আইনকানুন না মেনেই সেইসব জিনিস কেনেন আর তা মোটা লাভের অঙ্কে বিক্রি করেন। 

নির্বাচন কমিশনে ইমরান খানের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী ২১.৫৬ মিলিয়ন টাকা প্রদানের পরে তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে উপগারগুলি সংগ্রহ করেছিলেন। আর সেগুলি তিনি বিক্রি করেছিলেন ৫৮ বিলিয়ন টাকায়। উপহারগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল একটি গ্রাফ ঘড়ি, এক জোড়া কাফলিঙ্ক, একটি দামি কলম, একটি আংটি ও চারটি রোলেক্স ঘড়ি।

সম্প্রতী পঞ্জাবের তিনটি প্রদেশে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবমিলিয়ে ১১টি আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির প্রধান তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আটটি জাতীয় বিধানসভায় আসনের মধ্যে সাতটির প্রার্থী ছিলেন। আর তিনি জিতে ছিলেন ৬টি আসনে। 

ইমরানের 'ভাগ্য বিপর্যয়', তোষাগারে হেরাফেরির অভিযোগে আর জাতীয় পরিষদের সদস্য নন খান সাহেব

Netaji death mystery: গুমনামি বাবাই কি আসলে নেতাজী? CFL ডিএনএ রিপোর্ট প্রকাশ না করায় উঠছে প্রশ্ন

'অদম্য' ইমরান, তোশাখানা রায়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনকে চ্য়ালেঞ্জ জানিয়ে গেলেন হাইকোর্টে