সংক্ষিপ্ত
- বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শর্মিষ্ঠা দাস টনির 'আহারে জীবন' গানটি ভাইরাল হয়
- এই গানটি বাংলাদেশের ডুব সিনেমার
- অনেকের অভিমত এই গানটা আসল গানটার থেকেও সুন্দর হয়েছে
- তবে ভাইরাল হওয়াতে অস্বস্তিতে শিল্পী
রানু মণ্ডলের সুরের মূর্চ্ছনা অনেকের কাছে বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে। কিন্তু কিছু কিছু গান থাকে, বলা ভালো কিছু গলা থাকে তা অনায়াসে সারাদিনের সঙ্গী হতে পারে। আবার কিছু কিছু ভাইরাল থাকে, যার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও, মনের মধ্যে রেশ থেকে যায়। বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত বর্তমানে আমেরিকা নিবাসি শর্মিষ্ঠা দাস টনির গাওয়া গান "আহারে জীবন"। এই গানটি বাংলাদেশের ডুব সিনেমার। তাঁর গাওয়া এই গানটি সাত মাস আগে ভাইরাল হয়েছিল। 'হয়েছিল' বললে খুব 'ভুল' বলা হবে। ফেসবুকে পোস্ট করা গানটার শেয়ারের সংখ্যা সে সময় সকলের নজর টেনেছিল। এখনও দিনে দিনে বাড়ছে এই গানটির শেয়ারের সংখ্যা।
ভার্চুয়াল মিডিয়ায় গা ভাসিয়ে দেওয়া মেয়ে একেবারেই নন শর্মিষ্ঠা। তাঁর গান যখন ভাইরালের মধ্য গগনে, সেই সময় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটা পোস্ট করেন। সেখানেই জানিয়ে দেন, এই ভাইরাল হওয়া গানটা নিয়ে তাঁর মতামত কী। নিজের ফেসবুকের ওয়ালে তিনি লিখেছেন, 'ভাইরাল শব্দে আমার অস্বস্তি আছে। কোনও কিছু দুম করে ছড়িয়ে পড়ার নাম হল ভাইরাল। এখন এই কিছু ভালো মানের হতে পারে, এভারেজ হতে পারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এগুলোকে এক পাল্লায় করে দিয়েছে। ছাঁকছে না।'
আসলে গান গেয়ে তৃপ্তি পান শর্মিষ্ঠা। যে গানে তিনি তৃপ্তি পান না, লোকে বাহবা দিলেও মন ভরে না। তবে, এই ভাইরাল হওয়া গানের জেরে দুই বাংলার বহু মানুষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাঁকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বলেও তিনি জানাতে ভোলেননি।
সব শেষে পদ্মাপারের মেয়ে শর্মিষ্ঠা তাঁর আমেরিকার প্রবাস জীবনের কুঠীর থেকে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'যাঁরা গানটা শুনেছেন বা যাঁরা গানটা শুনছেন, সকলকে ধন্যবাদ।'