সংক্ষিপ্ত
কাজ হারিয়ে টাকা ধার নিয়ে কিনেছিলেন রিক্সা
তাও বাজডেয়াপ্ত করে নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ
সব হারানোর কান্না হল ভাইরাল
তাদেই রিক্সাওয়ালা হলেন উদ্যোগপতি
কোভিড মহামারি এবং তা ঠেকাতে লকডাউনের জেরে প্রায় সকলেরি জীবন ও জীবিকা ব্যহত হয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশে বহু মানুষের কাছে বেঁচে থাকাটাই কঠিন সংগ্রাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই টিকে থাকার লড়াইয়ে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোটা দারুণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর ইচ্ছে থাকলেই যে পাশে দাঁড়ানো যায়, তার অনন্য সাক্ষর রচনা করলেন বাংলাদেশি এক ব্যক্তি। আর সেইসঙ্গে আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল, বহু খারাপ প্রভাব থাকলেও চাইলে সোশ্যাল মিডিয়াকে কজে লাগিয়ে অনেক বালো কাজও সম্ভব।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিওতে ফজলুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে হাপুস নয়নে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল। ভিডিওটি থেকে জানা যায়, ওই ব্যক্তি করোনা মহামারির সময়ি কাজ হারিয়েছিলেন। সম্প্রতি ৮০,০০০ টাকা ধার নিয়ে তিনি একটি ব্যাটারিচালিত রিক্সা কিনেছিলেন। কিন্তু, অদৃষ্টের এমনি খেয়াল যে, তারপরই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)-এর পক্ষ ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ করা হয়। তারপরও ফজলুর ও আর যারা সেখানে ব্যাটারিচালিত রিক্সা চালাচ্ছিলেন তাদের রিক্সাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। রিক্সা হারিয়ে ফজলুর বলেছিল, আত্মহত্যা করা ছাড়া তাঁর আর কোনও গতি নেই।
ভিডিওটি সাকিব রহমান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। লক্ষ লক্ষ ভিউ হয়, দারুণ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে জনমানসে। তবে একজন একেবারে তাঁর জীবনে দেবদূত হয়ে ওঠেন। আহসান ভূঁইয়া নামের ওই ব্যক্তি ফজলুরের ভিডিওটি দেখে তাঁর সঙ্গে দেখা করে একটি নতুন ব্যাটারিচালিত রিকশা কিনে দিয়েছেন। শুধু তাঁকেই নয়, তাঁর সঙ্গে রিক্সা হারানো আরও দুইজন রিক্সাওয়ালার পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
ফজলুরের ভাইরাল ভিডিও দেখে তাঁর সহায়তায় এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশেরে অনলাইন মুদি বিতরণ পরিষেবা সংস্থা স্বপ্ন-ও। জানা গিয়েছে তারা ফজলুরের জন্য আরও দুটি ব্যাটারিচালিত রিকশা কিনবে। তার বহুদিনের স্বপ্ন হোম ডেলিভারি পরিষেবার ব্যবসা করা। ওই রিকশাগুলি ব্যবহার করে সে সেই স্বপ্নপূরণ করবে।