সংক্ষিপ্ত
- একটানা দীর্ঘ ৪০ দিনের লড়াই শেষ
- মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর
- অদম্য ফাইটিং স্পিরিট নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাঙালির ফেলুদা
- সব রকম চেষ্টা সত্বেও ফেলুদাকে কামব্যাকে ব্যর্থ চিকিৎসকেরা
ফেলুদা আর নেই। একটানা দীর্ঘ ৪০ দিনের লড়াই শেষ। প্রতিদিনই যেই মানুষটার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য মুখিয়ে রয়েছে আপামর বাঙালি, সেই সকলের প্রিয় ফেলুদা আর নেই। দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। চিকিৎসকেরা আশার আলো দেখছিলেন শেষ মুহূর্তে। কিন্তু সেই আশা আর পূরণ হল না। রবিবার ১২ টা ২০ নাগাদ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে বেলভিউ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
যত সময় এগোচ্ছিল ততই যেন পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হচ্ছিলফেলুদার। টানা ৪০ দিন ধরে চলছে জীবন-মৃত্যুর লড়াই। অদম্য ফাইটিং স্পিরিট নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বাঙালির ফেলুদা। অবশেষে আর পারলেন না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি এগোচ্ছিল খারাপের দিকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাদের সব রকম চেষ্টা সত্বেও কোনও কিছুই কাজ হচ্ছে না। কিন্তু লড়াকু মানুষটির থেকে আরও একবার কামব্যাকের আশা করছিলেন সকলে।
শেষ সময়ে সকলেরই একবার মনে হয়েছিল এবারও তিনিই জয়ী হবেন। ক্যান্সারকে হারিয়ে, করোনাকে ঠেলে ফেলে তিনি যেভাবে জীবন-মৃত্যুর লড়াই লড়ছিলেন তাতে চিকিৎসকেরাও আশা করেছিলেন এই লড়াই তিনিজিতবেনই । দীর্ঘ ৪০ দিন লড়াইয়ে অবশেষে হেরে গেলেন সৌমিত্র বাবু। তবে অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি। শেষ হয়ে গেল একটা অধ্যায়। তার এই প্রয়াণে বাংলা সিনেমার এর যুগের অবসান ঘটল। বাঙালির মনে তিনি অবিনশ্বর। কয়েকদিন চিকিৎসায় সাড়া দিলও গত শনিবার রাতের পর থেকেই তার শরীর আরও খারাপ হতে শুরু করে। তারপরেই আজ বেলাতেই ঘোষণা করা হয় তার মৃত্যুসংবাদ। চিকিৎসক সহ গোটা টিম তার কামব্যাকের অপেক্ষায় থাকলেও সকলকে চিরতরে বিদায় জানালেন বাঙালির ফেলুদা।