সংক্ষিপ্ত


নুসরত জাহানের পরেই রেজওয়ান রব্বানি শেখ। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো আর ইদ— দুই উৎসবকেই সমান সম্মান জানালেন ছোট পর্দার ‘নবাব’।  রেজওয়ানের মতে, মহানায়কের বাড়ির পুজোর পরিবেশ, আয়োজন, নিষ্ঠা, ভোগ— সবই ঐতিহ্য, বনেদিয়ানায় মোড়া। তাই প্রতি বছর উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পা রাখলেই যেন গায়ে কাঁটা দেয় তাঁর! ভোগের পায়েস কোনও বছর তাই মিস করেন না।

নুসরত জাহানের পরেই রেজওয়ান রব্বানি শেখ। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো আর ইদ— দুই উৎসবকেই সমান সম্মান জানালেন ছোট পর্দার ‘নবাব’। এ দিন তিনি উপস্থিত উত্তমকুমারের বাড়ির পুজোয়। গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে পাশে নিয়েই কি সম্প্রীতির বার্তা দিলেন অভিনেতা? এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে রেজওয়ানের উত্তর, ‘‘তোমার উৎসব, আমার উৎসব— এই ভাগাভাগি ভাল লাগে না। তার থেকে ‘আমাদের পুজো’ বলাটাই বেশি ভাল। এক দিনে একাধিক ধর্মের উৎসব পড়লে সবাইকে সমান মান্যতা দেওয়ার চেষ্টা করি। এ বছরেও সেটাই করলাম।’’

মহানায়কের নাতি গৌরব রেজওয়ানের পুরনো বন্ধু। অভিনেতার কথায়, ‘‘শ্যুটের চাপে কথাবার্তা দূর, মুখোমুখি দেখাই হয় না। উৎসব-অনুষ্ঠান হল আড্ডা দেওয়ার জায়গা। প্রতি বছরেই ওর বাড়িতে নিমন্ত্রণ থাকে। আমি আসি। অনেক ক্ষণ থাকি। গল্প করি। খাওয়াদাওয়া হয়। তার পর বাড়ি ফিরি।’’ এ বছর একই ফ্রেমে রেজওয়ানের সঙ্গে দেখা গিয়েছে গৌরবের স্ত্রী দেবলীনা কুমার, শ্বশুর এবং বিধায়ক-পুরপিতা দেবাশিস কুমার, শাশুড়ি দেবযানী কুমারকেও। অভিনেতা নিজেও শাসকদলের ঘনিষ্ঠ...। কথা শেষের আগেই ‘নবাব’-এর জবাব, প্রতি বছর তিনটি লক্ষ্মীপুজোয় তিনি উপস্থিত থাকেন। মহানায়কের বাড়ি, ত্রিধারা সম্মিলনী আর ‘মাকুদি’ অর্থাৎ পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। গৌরবের মতোই দেবাশিস কুমারও তাই তাঁর পূর্বপরিচিত। এও জানিয়েছেন, মহানায়কের বাড়িতে দেবাশিস, দেবযানী ছাড়াও এসেছিলেন আরও অনেকে। এসেছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-রেখার সঙ্গে চরম ঘনিষ্ঠতায় মত্ত অমিতাভ,অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন জয়া

আরও পড়ুন-পাঁচ দশকের বেশি ফিল্মি কেরিয়ারে ৫০ জন নায়িকার সঙ্গে অভিনয়, বিগ-বি-র কেরিয়ার গ্রাফে ঈর্ষা করেন অনেকেই

আরও পড়ুন-আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত অমিতাভ, পরিবারের মুখে খাবার জোগাতে হিমশিম, বিগ বি-র কাহিনি শুনলে শিউরে উঠবেন

মহানায়কের বাড়ির পুজো বাকি পুজোর থেকে একেবারেই আলাদা? অবশ্যই, বললেন রেজওয়ান। তাঁর মতে, ওই বাড়ির পুজোর পরিবেশ, আয়োজন, নিষ্ঠা, ভোগ— সবই ঐতিহ্য, বনেদিয়ানায় মোড়া। তাই প্রতি বছর উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পা রাখলেই যেন গায়ে কাঁটা দেয় তাঁর! ওই বাড়ির ভোগের পায়েস কোনও বছর তাই মিস করেন না। তার পরেই সামান্য আফসোস, রাত হয়ে যাওয়ায় এ বছর পল্লবীর বাড়িতে আর যেতে পারেননি তিনি।