সংক্ষিপ্ত
- এনআরসি, সিএএ নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ দিল্লি
- প্রতিবাদ ছাড়া আর কোনও পথ দেখছেন না বাংলার অভিনেতারা
- পুরোটাই পরিকল্পিত বলে জানিয়েছেন অভিনেতা কৌশিক সেন
- ব্যাঙ্গাত্মক টুইট করেছেন অভিনেতা অনির্বাণ
দিল্লি জ্বলছে। আর তার আঁচ এসে পড়েছে সারা বিশ্ব। প্রতিবাদ চলছে, চলবে। পরিস্থিতি ক্রমশ যেন জটিল হচ্ছে। ছাত্র থেকে নাগরিক, শিল্পীসমাজ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। এমনকী আক্রান্তরাও থেমে নেই। তারাও প্রকাশ্য রাস্তায় বেরিয়ে এসেছে। নাগরিকত্ব, নাগরিকপঞ্জি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা তরজা চলে আসছে। এনআরসি, সিএএ নিয়ে ফের অগ্নিগর্ভ দিল্লি। একের পর এক টুইটে ভরে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা। সিএএ, এনআরসি নিয়ে সরব হয়েছিলেন প্রত্যেকেই। বুদ্ধিজীবি মহলের একাংশ এই নিয়ে আওয়াজ তুললেও শেষমেষ কোনও লাভ হয়নি। বলিউডেও অনুরাগ থেকে স্বরা আওয়াজ তুললেও সেখানেও একই অবস্থা। বাদ পড়েনি টলিউড।
প্রতিবাদ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রতিবাদ ছাড়া আর কোনও পথ দেখছেন না বাংলার অভিনেতা থেকেগায়ক-পরিচালক-নাট্যশিল্পীরা। অভিনেতা কৌশিক সেন বলেছেন, 'আমি যেমন আশঙ্কা করেছিলাম ঠিক তেমনই একটা হতে চলেছে। শাহিনবাগের সঙ্গে সোমবারের কোনও মিল নেই এটা পরিকল্পিত। না হলে যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আসছেন সেখানে রাজধানীকে শান্তিপূর্ণ দেখানোটা উচিত ছিল। কিন্তু দিল্লি পুলিশের কাছে আগাম তথ্য নেই যে এটা হতে পারে। এমনকী জনগণকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে, প্রতিবাদ করলে এই পরিণতি গোটা দেশে হবে।'
আরও পড়ুন-হিংসায় বিধ্বস্ত রাজধানী, শান্তির বার্তা দিয়ে কবিগুরুকে স্মরণ সৃজিতের...
দিল্লির এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে ব্যাঙ্গাত্মক টুইট করেছেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তাকে এমনও শুনতে হয়েছে, 'নিজে যেটা ভাল পারেন , সেটাই মন দিয়ে করুন। কেন এসবে জড়াচ্ছেন'। এই প্রসঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তার সটান উত্তর,'আমরা যাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি , তাদরেই উচিত আসল কাজটা করা। আমরা টুইট ছাড়া আর কী-ই বা করতে পারি। দিল্লির ঘটনা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম কালো দিন।' অভিনেতা পরমব্রত মনে করেছেন, 'যা ঘটেছে, তাতে অর্ধশতক পরে ইতিহাস আমাদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে বলে মনে হচ্ছে।'
আরও পড়ুন-একে অপরকে জড়িয়ে ধরে গাঢ় চুম্বনে মত্ত সস্ত্রীক জিৎ, বিবাহবার্ষিকীতে ভাইরাল ছবি...
রাজ চক্রবর্তী মসজিদে আক্রমণের ভিডিও রিটুইট করে লিখেছেন, 'এভাবে লড়তে থাকলে মানুষ আর থাকবে না। শুধু পরে থাকবে মন্দির-মসজিদ'। আগামী ছবি ধর্মযুদ্ধ-তেও সম্প্রীতির বার্তা দিতে চাইছেন পরিচালক। সঙ্গীতশিল্পী সিধু বলেছেন, 'এখন ক্রমাগত বিরোধী কণ্ঠরোধের চেষ্টাই রেওয়াজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একজন শিল্পী হিসেবে আমি গানের মাধ্যমেও প্রতিবাদ করতে পারি, আবার নাগরিক হিসেবে মিছিলেও হাঁটতে পারি। জোর করে এইভাবে কোনও আইন প্রণয়ন করা যায় কি? বিশেষ করে তার পরিণতি যদি এমন ভয়ঙ্কর জায়গায় চলে যায়'। গায়িকা ইমন চক্রবর্তী জানিয়েছেন,'কঙ্গনা রানাউত কিংবা অক্ষয়কুমার যখন পরপর ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেলেন, তাঁদের সুর পাল্টে যেতে দেখেছি আমরা। যদিও তাঁরা অসম্ভব গুণী শিল্পী। কোনও শিল্পীর উপরে যদি রাজনৈতিক চাপ আসে, তা হলে তাঁদের ঠিক করতে হবে নিজেদের অবস্থান । সোমবারের দিল্লির এই চিত্র কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এত অসহিষ্ণুতার কারণ কি প্রাথমিক অপ্রাপ্তিই।'