সংক্ষিপ্ত
- ২৬ তম বর্ষে পা দিল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব
- ভার্চুয়ালি চলচ্চিত্র উৎসবের শুভ উদ্ধোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
- ভার্চুয়ালি উৎসবে যোগ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড আ্যম্বাসাডর শাহরুখ খান
- শাহরুখকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাখিবন্ধনে আসার অনুরোধ মমতার
করোনা আবহে উৎসবের রং ফিকে হলেও দু-মাস পিছিয়ে গিয়েছিল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। আজই ২৬ তম বর্ষে পা দিল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। প্রতিবছরের চেয়ে একটু অন্যভাবেই উদযাপিত হল এই উৎসব। করোনার মহাসঙ্কটে নবান্নের সভাঘর থেকেই ভার্চুয়ালি উদ্ধোধন হল কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। নবান্নের সভাঘরেই ভার্চুয়ালি উৎসবে যোগ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের ব্র্যান্ড আ্যম্বাসাডর শাহরুখ খান।
২৬ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের শুরুতেই প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কিছু সিনেমার কোলাজ ভিডিও দিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। যা দেখেই যেন অজান্তে ভিজে গেছে চোখের কোণ। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলচ্চিত্র উৎসবের শুভ উদ্ধোধন করেন। ভার্চুয়াল উপস্থিতিতেই বাংলাতে স্বাগত জানান শাহরুখকে। তারপরেই ভাইকে বলেন, 'কেমন আছো শাহরুখ, ভালো তো?' দিদির প্রশ্নের উত্তরটাও বাংলাতেই দেন শাহরুখ। কোভিডের কারণে চলচ্চিত্রে উৎসবে উপস্থিত থাকতে না পেরে দুঃখপ্রকাশ করেন শাহরুৎ। শাহরুখকে ধন্যবাদ জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এইভাবে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, রাখিবন্ধনে কিন্তু তোমাকে আসতেই হবে।' তার উত্তরে কিং খান আরও বলেন 'অতিমারি শিখিয়েছে পরিবার সবচেয়ে দামি। আর কলকাতা আমার পরিবার। পশ্চিমবঙ্গ আমার পরিবার। খুব শীঘ্রই আসছি।'
বলি তারকাদের ভিড় না থাকলেও টলিউডের চাঁদের হাট বসেছে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। উৎসবে হাজির ছিলেন গৌতম ঘোষ, কৌশিক সেন, ঋতুপর্ণা, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী, ঋতাভরী, দেব, অরিন্দম শীল, ইন্দ্রাণী হালদার, পায়েল, গৌতম ঘোষ, অনুভব সিনহা, সোহম চট্টোপাধ্যায় সহ আর অনেকে। তবে সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং নুসরত জাহান-এর দেখা পাওয়া যায়নি এই উৎসবে। কোভিডের কারণে এই বছর ই-টিকিটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। করোনার আবহে উৎসব অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উৎসবকে সমৃদ্ধ করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন,একদিন বলি-হলিকে টেক্কা দেবে বাংলা সিনেমা। এবং বাংলা আবারও বিশ্বসভায় জায়গা করে নেবে।