সংক্ষিপ্ত

আয় খুকু আয় বাবা মেয়ের মিষ্টি সম্পর্কের গল্প বলে। জিৎ প্রযোজিত ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দিতিপ্রিয়া রায়। হলে যাওয়ার আগে জেনে নিন কেমন হয়েছে সিনেমাটি।

অভিনয়: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দিতিপ্রিয়া রায়, সোহিনী সেনগুপ্ত, মিথিলা প্রমুখ
পরিচালক: সৌভিক কুন্ডু
প্রযোজনা: গ্রসারুট এন্টারটেইনমেন্ট

আয় খুকু আয় ছবির গল্পে দুজন প্রসেনজিতের গল্প সমান্তরালে চলতে থাকে। একটি গল্পে প্রসেনজিৎ নিজের আসল চরিত্র অর্থাৎ নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর চরিত্রে অভিনয় করেন। আরেকটি গল্পে একটি চরিত্র যে মাচাতে অভিনেতা প্রসেনজিৎ সেজে জীবিকা নির্বাহ করে। দ্বিতীয় চরিত্রে প্রসেনজিৎ একজন সাধারণ শিল্পীর চরিত্র করেছেন যার জীবন কেন্দ্রীভূত হয় তার একমাত্র মেয়ে বুড়িকে কেন্দ্র করে।
চরিত্রটির মাথায় টাক থাকায় লোকে তাকে ' টেকো পোসেন' বলে ক্ষেপায়। তবু মেয়ে বুড়ি বাবার পেশাকে কখনোই অসম্মান করেনা। তার ইচ্ছে নৃত্য শিল্পী হওয়ার। সেই কারণে একটি চ্যানেলে অডিশন দিতেও যায় সে। তারপর কি হয় সেটা জানতে হলে সিনেমা হলে যেতে হবে।

অবশেষে হল স্বপ্নপূরণ, এবার শান্তিতে মরতে পারবেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কেন জানেন

কী চাইছেন সৃজিত, যীশু-অনির্বাণ নয়, বরং মহাপ্রভু চরিত্রে এই অভিনেতাকেই পছন্দ পরিচালকের

Madan Mitra: ওহ লাভলি! রাজনীতির ময়দান থেকে সোজা টলিউডে পা এবার সিনেমার পর্দায় মদন মিত্র
যদিও এই দুই প্রসেনজিতের চরিত্র কোথাও গিয়ে এস আর কের ফ্যান ছবির কথা মনে করিয়ে দেয় তবুও দুটি সম্পূর্ন ভিন্ন গল্প। প্রসেনজিৎ এর  ' টেকো পোসেন' চরিত্রটি অনেকদিন মনে থেকে যাবে। এরকম চরিত্র আগে কোনদিন করেননি তিনি। অসাধারণ মেক আপ এবং তার অভিনয় চরিত্র টিকে প্রাণ দিয়েছে। চরিত্র টি দেখতে দেখতে সেসব মানুষদের কথা মনে পড়বে যাদের মাচা শোতে গিয়ে বিভিন্ন অভিনেতাদের নকল করতে দেখা যায়। দিতিপ্রিয়া তার চরিত্রে যথাযথ ছিলেন। প্রসেনজিতের এই ডুয়েল দেখবার জন্য দেখতে যেতেই পারেন আয় খুকু আয়। প্রসেনজিৎ দীতিপ্রিয়ার মিষ্টি রসায়নও বাবা মেয়ে হিসেবে একেবারে মানিয়ে গিয়েছে। সেই তুলনায় সোহিনী সেনগুপ্তের অভিনয় কোথাও গিয়ে অতিনাটকিয় বলে মনে হয়। তবে কানা গোঁসাই চরিত্রে শঙ্কর দেবনাথ  কোথাও গিয়ে প্রসেনজিৎকে ও ছাড়িয়ে গিয়েছে। গল্পটি এমন কিছু আহামরি না হলেও অভিনেতারা তাদের অভিনয় দিয়ে সেই খামতি ঢাকার চেষ্টা করেছেন মাত্র। নারী পাচার, রাজনীতির রগড়, এমএমএস, মোবাইলের ভাল-মন্দ, মফস্‌সলের শিল্পীর স্বপ্নহীনতা, বাবা-মেয়ের লড়াই— একসঙ্গে এত কিছু একটা গল্পে দেখতে গিয়ে পুরো গল্পটাই খিচুড়ি পাকিয়ে গিয়েছে। কোনো গল্পই শেষ পর্যন্ত ভালো করে শেষ হয়নি। তবু একবার প্রসেনজিৎ এর জন্য একবার দেখে আসতে পারেন ছবিটি। ছবিতে মোট তিনটি গান রয়েছে। তিনটির মধ্যে টাইটেল ট্রাকটি অসাধারণ। এবার দর্শকদের পালা ছবিটি বিচার করবার।