সংক্ষিপ্ত
অভিনেত্রী পল্লবী রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় এখন সবার নজর সাগ্নিকের দিকে। কেউ বলছেন প্লে বয়, কেউ বলছে দারুন খেলোয়াড়। জানা গিয়েছে, সাগ্নিকের গ্রাস থেকে নাকি ছাড় পেত না পল্লবীর বান্ধবীরাও।
অভিনেত্রী পল্লবী রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় এখন সবার নজর সাগ্নিকের দিকে। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে সে। তবে পল্লবীর জীবনকালে, সাগ্নিনকের বহাল তবিয়তের জীবন প্রকাশ্য়ে আসতেই অনেকেই চোখ কপালে তুলেছেন। পল্লবীর থেকে প্রচুর টাকা, দামী গাড়ি তো দূরের কথা, এসব তো হরপ করার অভিযোগ আছেই, তার সঙ্গে রয়েছে রাশলীলার অভিযোগ। কেউ বলছেন প্লে বয়, কেউ বলছে দারুন খেলোয়াড়। জানা গিয়েছে, সাগ্নিকের গ্রাস থেকে নাকি ছাড় পেত না পল্লবীর বান্ধবীরাও।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রেমিকা পল্লবী দের জন্মদিন পালন করতে গিয়ে কলকাতার একটি বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে গিয়েছিলেন সাগ্নিক। বন্ধুরা জানিয়েছে, সেখানে অনুষ্ঠানের মাঝেই আইফোন উপহার দিয়েছিলেন পল্লবীকে, সাগ্নিক। যার দাম ৭০ হাজার টাকা। উপহারের রেশ এখানেই থেমে থাকেনি। এরপরপর ফের পার্টি আরও একটি বিলাসবহুল হোটেলে। বর্ষপূর্তির পার্টি। সুন্দর দেখতে একটা কেক কেটেছিলেন দুজন মিলে। তাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল আমন্ত্রিত বন্ধুরা। কিন্তু এভাবে সম্পর্ক এগিয়ে গেলেও মাঝখানে পুরোনো বান্ধবী ঐন্দ্রিলা এসে পড়েন বলে অভিযোগ। পল্লবীর পরিবার এই মর্মেই অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়।
মাত্র ২৫ বছর বয়স। হাওড়ার বাসিন্দা পল্লবী দে নিজেকে প্রমাণ করতে চলে আসেন কলকাতায়।সাডা় দিয়েছিলেন রুপোলি পর্দার হাতছানিতে। বাড়িতে থাকেন মা-বাবা-এক দাদা। খবর পেয়েই তারা ছুটে এসেছেন বাঙুর হাসপাতালে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, একটি লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলেন অভিনেত্রী প্রাণবন্ত পল্লবী দে। সেজন্যই দক্ষিণ কলকাতার গড়ফা এলাকায় থাকতেন তিনি। মূলত প্রেমে পড়ার পরেই গড়ফার বাড়িতে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতে শুরু করেন পল্লবী।
আরও পড়ুন, অরুণিতার সঙ্গে কলকাতায় পবনদীপ, নতুন করে উস্কে দিলেন প্রেমের জল্পনা
জানা গিয়েছে, প্রেমিকের কাছে প্রতারিত হন টলি অভিনেত্রী পল্লবী দে। বয়ফ্রেন্ডের আগের যে গার্লফ্রেন্ড, তার সঙ্গে রেজিস্ট্রি হয়ে গিয়েছিল। এদিকে প্রেমিকের আগের গার্লফেন্ড আর কেউ নয়, খোদ অভিনেত্রী পল্লবী দে-রই কাছের বন্ধু। এদিকে এই সব কিছুই পুরোনো গার্লফ্রেন্ড নিজে মুখে বলে দেয়, পল্লবীকে। সে তার বন্ধু পল্লবীকে জানায়, 'ছেলেটি মোটেই ভাল নয়, ও আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল।'
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ফেসবুকে যোগদেন পল্লবী। গড়ফায় তাঁর দেহ উদ্ধার হলেও ফেসবুক অনুয়ায়ী তিনি হাওড়ার বাসিন্দা। সাঁতরাগাছি ভানুমতি গালর্স হাইস্কুলের ছাত্রী তিনি। পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন।একটি বিনোদন সংক্রান্ত সংস্থায়, কিছুদিন চাকরিও করেন। এরপরে বাংলার সব বিনোদন টিভি চ্যানেলেই কাজ করেন বলে উল্লেখ করা রয়েছে ফেসবুকে।