সংক্ষিপ্ত
পরমব্রত-পায়েল-বনির মতো তারকাখচিত ছবির মুক্তিতে এত দোলাচল? কেন দু’বার মুক্তি পাচ্ছে ‘জতুগৃহ’? সে ক্ষেত্রে নভেম্বর বা ডিসেম্বরেও ছবি-মুক্তির তারিখ ধার্য করা যেতেই পারত?
রামায়ণ, মহাভারতের এমন একত্র বাস দেখেছেন? শ্রী রামচন্দ্রের লঙ্কাজয়ের বিজয় উৎসবের পরেই জ্বলবে জতুগৃহ! বাস্তবে নয়, পর্দায়। সপ্তাশ্ব বসুর রহস্য-রোমাঞ্চ ছবি ‘জতুগৃহ’র মুক্তি বারবার পিছোচ্ছিল। খবর, ছবিটি দীপাবলির পরের দিন মুক্তি পেতে চলেছে। এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে পরিচালক জানিয়েছেন, ‘‘ছবির যথার্থ মুক্তি ২৮ অক্টোবর। তার আগে হাতেগোনা কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হবে ২৫ অক্টোবর।’’ ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকার, বনি সেনগুপ্ত। পরমব্রতকে ঘিরেই দানা বাঁধবে রহস্য। সপ্তাশ্বর ছবি দিয়েই পরমব্রতকে প্রথম এক বয়স্ক যাজকের ভূমিকায় দেখা যাবে। চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ আনতে প্রস্থেটির রূপটানের সাহায্য নিতে হয়েছে অভিনেতাকে।
এই ছবি দিয়েই প্রযোজক রক্তিম চট্টোপাধ্যায় বাংলা ছবির দুনিয়ায় প্রথম পা রাখতে চলেছে। পাশাপাশি, ছবিটি তারকাখচিত। সেই ছবির মুক্তিতে এত দোলাচল? কেন দু’বার মুক্তি পাচ্ছে ‘জতুগৃহ’? প্রশ্ন ছিল পরিচালকের কাছে। সপ্তাশ্বর জবাব, ‘‘দু’বার নয়, এক বারই মু্ক্তি পাচ্ছে ছবিটি। জতুগৃহ’ মুক্তির তারিখ প্রথমে আগামীকালই ঠিক হয়েছিল। উৎসব উদযাপনের অঙ্গ হিসেবে। যেহেতু ছবিটি ভূত এবং রহস্য-রোমাঞ্চে মোড়া। কিন্তু উৎসব পড়ে’’ কালকেই মুক্তির তারিখ। কিন্টু হল টাইমিংস এর কিছু সোমস্যা তে আর টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা ই যাওয়ায় প্রেক্ষাগৃহের সময়ের সঙ্গে মুক্তির তারিখ মিলছিল না। ইতিমধ্যে আমরা নজরুল তীর্থ-সহ আর কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে জায়গা পেয়েছি। তাই ২৮ তারিখ শুক্রবার আবার মুক্তি পাবে ‘জতুগৃহ। বিষয়টি নিয়ে পরিচালক রক্তিম এবং পরিবেশক শতদীপ সাহা ইতিমধ্যেই সবিস্তার আলোচনা করেছেন।’’
পরিচালকের আরও বক্তব্য, ছবি-মুক্তির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে। তার কিছুটা টেকনিক্যাল। এ ছাড়া, সপ্তাহান্ত, উৎসবের ছুটির প্রভাবও এতে পড়ে। সব মিলিয়ে মুক্তির তারিখ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। গত কাল ঠিক হয় আগের কথা মতো ২৫-এ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ছবিটি। তার পর ২৮ তারিখ রীতি মেনে প্রিমিয়ার। সে ক্ষেত্রে নভেম্বর বা ডিসেম্বরেও ছবি-মুক্তির তারিখ ধার্য করা যেতেই পারত? সপ্তাশ্বর মতে, এই সিদ্ধান্ত সাধারণত পরিচালক নয় প্রযোজক নিয়ে থাকেন। তবুও তিনি যথেষ্ট মাথা ঘামাচ্ছেন কারণ, প্রযোজকের এটি প্রথম ছবি। এ ছাড়া, ছবি-মু্ক্তির তারিখ ঘোষণা, সেই অনুযায়ী হোর্ডিং, পরিবেশনার দায়িত্ব এবং কাগজপত্রে সইসাবুদ হয়ে গিয়েছে। এখন আর পিছোনো সম্ভব নয়।
ছবির মুখ্য আকর্ষণ পরমব্রতও এই মুহূর্তে শহরের বাইরে। হিন্দি ছবি নোটারির শ্যুটে ভোপালে রয়েছেন। ছবির বাকি তারকারা অবশ্য কলকাতায়। এর আগে করোনা-কারণে ছবি-মুক্তির তারিখ পিছোতে বাধ্য হয়েছিলেন প্রযোজক। সেই সময় প্রযোজক ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বনিও। ছবির পটভূমিকায় পাহাড়ি অঞ্চল নিষাদগঞ্জের গল্প। সেখানকার এক ধনী, খ্রিস্টান চা-বাগানের মালিকের মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন পায়েলক। ছবির গল্পের সঙ্গে মিল রাখতে তাই পুরো শ্যুট হয়েছে কালিম্পঙে। ছবিতে বনি হোটেল ম্যানেজার। পরিচালক সপ্তাশ্ব বসুর কথায়, বনির চোখ দিয়ে দর্শকেরা পুরো গল্প দেখবেন। এছাড়াও রয়েছেন অংশু বাচ। পর্দায় তিনি বনির বন্ধু।
আরও পড়ুন-কার সঙ্গে দিওয়ালিতে চুপিচুপি ঘুরছেন জাহ্নবী? সেক্সি বক্ষের ভাঁজে শরীরী মোচড় শ্রী-কন্যার
আরও পড়ুন-'সেক্সবম্ব'মালাইকার জন্য জমকালো পার্টির আয়োজন অর্জুনের, জন্মদিনে আমন্ত্রিত ছিলেন কারা?