সংক্ষিপ্ত

শ্রীজাত-র প্রথম ছবি তারকাময়। রয়েছেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা সরকার, মিশকা হালিম। বিশেষ ভূমিকায় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ও!

নতুন বছরে পাকাপাকি ভাবে নতুন ভূমিকায় শ্রীজাত। এত দিন যাঁরা তাঁর লেখনিতে মুগ্ধ ছিলেন এ বার তাঁরা কবির পরিচালিত ছবি দেখে মুগ্ধ হবেন। দীপাবলির রাতে আতসবাজির রোশনাই দ্বিগুণ এমনই এক ঘোষণায়! কী জানিয়েছেন কবি? ২০২৩-এ আসছে কবি পরিচালিত ‘মানবজমিন’। শ্রীজাত-র প্রথম পরিচালনায় সোনা ফলিয়ে সেই জমি আবাদ করতে চলেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা সরকার। কবি অবশ্য বরাবরই সব কৃতিত্ব দিয়ে এসেছেন প্রযোজক রানা সরকার। তাঁর কথায়, প্রযোজক নতুন পরিচালকের উপরে ভরসা না করলে অনুরাগীরা তাঁকে নতুন রূপে দেখতে পেতেন না। এই ছবি দিয়েই রানা প্রযোজক হিসেবে বড় পর্দায় দীর্ঘদিন পরে ফিরতে চলেছেন। 

শ্রীজাত-র প্রথম ছবি তারকাময়। আগে বলা দুই অভিনেতা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, মিশকা হালিম। এ ছাড়া, এই ছবি দিয়েই বড় পর্দায় প্রথম অভিনয় করছেন কবি-পত্নী দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ ভূমিকায় দেখা যাবে জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কেও! যদিও এর আগে কবির রসিকতা, তিনি সৃজিতকে গীতিকার হিসেবে চেয়েছিলেন। পরিচালক নাকি তখন বলিউডে ব্যস্ত। অভিনয়ের কথা বলতেই নাকি সোনামুখ করে রাজি! ছবির গানের দায়িত্বও তাই কবির কাঁধে। পাশাপাশি, তিনি এই ছবির গল্পকার এবং চিত্রনাট্যকার। সুরকার জয় সরকার। গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল, অরিজিৎ সিং। ছবিতে রামপ্রসাদ সেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান উপরি পাওনা।

 

 

প্রথম ছবি নিয়ে শুরুতে সামান্য ভুগতে হয়েছিল নতুন পরিচালককে। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে ছবির শ্যুট শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই সময় পরমব্রত ব্যস্ত বলিউডে। দুর্ঘটনায় পা ভেঙে প্রিয়াঙ্কা শয্যাশায়ী তিন মাস। শ্যুট তাই পিছিয়ে শুরু চলতি বছরের মার্চের শেষে। এই ছবি দিয়েই নায়িকা ফের লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় ফিরেছেন। ছবির শ্যুট হয়েছে সারা কলকাতাজুড়ে। এই ছবিতে পরিচালকের অবজার্ভার হিসেবে দেখা গিয়েছে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে অভিমন্যু চট্টোপাধ্যায়কে। সেই সময়ের ভাইরাল ছবিতে দেখা গিয়েছে, প্রেমিকা দামিনী ঘোষকে পাশে নিয়ে ঝিনুক খুঁটিয়ে লক্ষ্য করেছেন ক্যামেরা। ছবির কেন্দ্রে ‘মানবজমিন’ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ‘কুহু’ ওরফে প্রিয়াঙ্কা এই সংস্থা চালায়। ‘সঙ্কেত’ ওরফে পরমব্রত ভালবাসে ‘কুহু’কে। তাকে বড় করেছেন তার জেঠু বরেণবাবু। ধীরে ধীরে সবাই নানা ভাবে জড়িয়ে পড়ে সংস্থার সঙ্গে। তার থেকেই শুরু আদানপ্রদানের টানাপড়েন। সমস্যার সমাধান কী? কবি-কথায়, সব উত্তর আপাতত নতুন বছরের জন্য তোলা থাক।