সংক্ষিপ্ত

  • প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষ
  • মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর
  • বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন নিমাই ঘোষ
  •  নিমাই ঘোষের প্রয়াণে  মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর ভাবে শোকাহত

করোনা ভাইরাসের জেরে  ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা বিশ্ববাসীকে। এই মহামারীর মধ্যেই প্রয়াত হলেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষ। আজ  সকাল ৭.৩০ মিনিটে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন নিমাই ঘোষ। বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন নিমাই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। গত কয়েকদিন ধরেই খাওয়া-দাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আজ সকালেই সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন তিনি।

আরও পড়ুন-'করোনাকে ধন্যবাদ', ভিডিও পোস্ট করে নেটিজেনদের তোপের মুখে বিদ্যা বালন...

বিশিষ্ট আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষের প্রয়াণে  মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর ভাবে শোকাহত। তিনি জানিয়েছেন,  'আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। প্রায় দু'দশকের বেশি সময় ধরে তিনি চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বিভিন্ন চলচ্চিত্রে আলোকচিত্রী হিসাবে অসামান্য কাজের নজির রেখেছেন। তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ 'মানিক দা: মেমোয়ার্স অব সত্যজিৎ রে'। পদ্মশ্রী সহ বহু সম্মানে ভূষিত হয়েছেন নিমাই ঘোষ। তার এই  প্রয়াণে ফটোগ্রাফি জগতের এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি নিমাই ঘোষের  পরিবার-পরিজন ও  অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি'।

আরও পড়ুন-করোনা আতঙ্কে বিরক্তির সুর লতা মঙ্গেশকরের গলায়, সোশ্যাল পোস্টে জানালেন সতর্কবার্তা...

তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, তার এই প্রয়ানে শোকের ছায়া নেমে এসেছে টলিউডে।মাত্র কিছুদিন আগেই প্রয়াত হলেন  অভিনেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ তাপস পাল। সেই বিষাদের রেশ কাটতে না কাটতে চলে গেলেন সন্তু মুখোপাধ্যায়। একের পর  এক নক্ষত্ররা এভাবেই ছেড়ে চলে যাচ্ছেন টলি ইন্ডাস্ট্রিকে। দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বিশিষ্ট আলোকচিত্রী নিমাই ঘোষ। সত্যজির রায়ের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন এই আলোকচিত্রী। সত্যজির রায়ের বিখ্যাত চলচ্চিত্র 'গুপী গাইন বাঘা বাইন' -দিয়ে  তিনি কাজ শুরু করেন। দীর্ঘ ২৫ বছরের জীবনে ৯০ হাজারেরও বেশি ছবি রয়েছে তার আর্কাইভে। ইতিমধ্যেই করোনাকে রুখতে সারা বিশ্বে লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে  সরকার।   আর এই লকডাউনের কারণেই মুম্বইবাসী ছেলে সাত্যকি ঘোষও বাবার শেষকৃত্যে আসতে পারলেন না। এছাড়া চলচ্চিত্র মহলের একাংশও তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারল না।