ফের নক্ষত্রপতন বাংলা সাংস্কৃতি জগতে প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্কর মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০১ বছর  দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন অমলা শঙ্কর

ফের নক্ষত্রপতন বাংলা সাংস্কৃতি জগতে। প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্কর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০১ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন অমলা শঙ্কর। তার এই মৃত্যুতে নৃত্যজগতে এক বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়ে গেল। বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে তিনি অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আজ সকালেই তার নাতনি শ্রীনন্দা শঙ্কর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম তার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আনে। 

আরও পড়ুন-এখনও কোভিড পজিটিভ অমিতাভ, ভুঁয়ো খবরের গুজবে রীতিমতো ক্ষুব্ধ অভিনেতা...

ঠাকুমার অমলা শঙ্করের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে শ্রীনন্দা লিখেছেন, 'একটি যুগের অবসান। গত ২৭ জুন তার ১০১ তম জন্মদিন পালন করা হয়েছিল। ১০১ বছরে আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন ঠাম্মা। লকডাউনের কারণে মুম্বই থেকে কলকাতা আসতে না পারার জন্য মর্মাহত। ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি। ঠাম্মা তোমাকে খুব খুব ভালবাসি'। দেখে নিন তার পোস্টটি,

Scroll to load tweet…


সালটা ১৯১৯, ২৭ জুন ভারতের যশোরে জন্মগ্রহণ করেন অমলা শঙ্কর। মাত্র ১১ বছর বয়সে প্যারিসের ইন্টারন্যাশনাস কলোনিয়াল এগজিবিশনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেখানেই প্রথম দেখা হয় উদয় শঙ্করের সঙ্গে। তারপরেই উদয় শঙ্করের কাছে তালিম নিতে শুরু করেন অমলা শঙ্কর। তারপর তার ডান্স গ্রুপে যোগ দিয়ে নানা দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। ১৯৪২ সালে বিয়ে করেন নৃত্যজগতের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব উদয় শঙ্করকে। তাদের দুই সন্তান প্রয়াত সুরকার আনন্দ শঙ্কর ও মমতা শঙ্কর। 

নৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্করের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত ঋতুপর্ণা, তিনি টুইটে তার আত্মার শান্তি কামনা করে শোকপ্রকাশ করেছেন, দেখে নিন টুইটি,

Scroll to load tweet…

নৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্করের প্রয়াণে শোকাহত বাংলা চলচ্চিত্রের সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আত্মার চিরশান্তি কামনা করে শোকপ্রকাশ,


গত শতাব্দীর প্রায় চার দশক ধরে উদয়-অমলা জুটি বিখ্যাত নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম ছিল। ১৯৭৭ সালে প্রয়াত হন উদয় শঙ্কর। তারপর থেকেই তাদের সেই নৃত্যধারা বয়ে নিয়ে চলেছেন মেয়ে মমতা শঙ্কর ও পুত্রবধূ তনুশ্রী শঙ্কর। প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পীর মৃত্যুতে অপূরণীয় ক্ষতি নৃত্য জগতে। তার সঙ্গেই যেন অবসান হল একটি যুগের। শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে গোটা সাংস্কৃতিক জগত।