সংক্ষিপ্ত

  • বাবাকে নিয়ে অকপট শ্বাসত
  • অনঢ়গল বলে চললেন বাবার আদর্শের কথা
  • মানিয়ে নেওয়া ক্ষমতা ছিল কতটা 
  • শাশ্বতর চোখে বাবার লকডাউন

জুলাই মাসটা আর পাঁচটা মাসের থেকে এখন আলাদা অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। এই মাসের শুরুতেই তিনি বাবাকে হারান, বাংলা চলচ্চিত্র জগত থেকে চিরবিদায় নিয়েছিলেন শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। আজও সেই স্মৃতি তারিয়ে নিয়ে বেড়ায় শাশ্বতকে। বাবাকে আগলে কতই না স্মৃতি। বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি বাবা থাকতেন কতটা মানিয়ে নিতেন! প্রসঙ্গ ওঠে যুগ পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার দক্ষতা থেকেই। এক প্রথমসারির সংবাদ মাধ্যমের কাছে খোলা চিঠির মত অনঢ়গল সবটাই তুলে ধরলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। 

আরও পড়ুন- হাসপাতাল থেকে বার করা হল মরদেহ, কিংবদন্তি সুপারস্টারকে চিরবিদায়ে বাড়িতে উপচে পড়া ভিড়

শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়, যিনি একাধারে সাদা কালো ফ্রেম ও রঙিন ফ্রেমে দুইয়েই ব্যালন্স করে অভিনয় করেছেন। সমাজের সঙ্গেও তাঁর মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা, তথা সমঝোতার ক্ষমতা ছিল অনেকটাই বেশি। তবে মানিয়ে নিতে পারতেন কি এই করোনা পরিস্থিতি! হয়তো পারতেন। তবে শাশ্বতর কথায়, আপস করতে হত তাঁকে অনেক কিছু সঙ্গেই। যার মধ্যে অন্যতম হল আড্ডা। আড্ডা বিষয়টা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের ভিষণ পছন্দের ছিল। যার ফলে আড্ডা না থাকায় এক প্রকার হাঁপিয়ে উঠতেন তিনি। 

আরও পড়ুন- প্রয়াত দিলীপ কুমার, শোক জ্ঞাপন রাষ্ট্রপতি থেকে মোদী-মমতার

তবে হ্যাঁ, একটা বিষয় ছিল যার সঙ্গে আপস করাটা মোটেও পছন্দ করতেন না শুভেন্দু। তা হল আদর্শ। নিজের আদর্শ থেকে একচুল নড়ে দাঁড়াতে পছন্দ করতেন না তিনি। শাশ্বতর কথায়, শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় অনেক বেশি অ্যাডভান্স ছিলেন, হাতের ফোন হোক বা নতুন কোনও প্রযুক্তি। শাশ্বত অকপট স্বীকারোক্তি, বাবা আমার থেকে অনেক বেশি অ্যাডভান্স ছিলেন। ৫ জুলাই বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মৃতিচারনায় শাশ্বত চট্টোপাধ্য়া।