সংক্ষিপ্ত
- মুখোশের আড়ালে কারা
- কী করছিল দিল্লি পুলিশ
- দেশের বুকে ফিরুক আঠারো
- প্রতিবাদে সরব টলি-দুনিয়া
রবিবার রাত সাক্ষী থাকল আরও এক ভয়াবহ ঘটনার। শিক্ষাজগতে আরও এক কালো অধ্যায়। দিল্লিতে রাতের অন্ধকারেই পড়ুয়াদের ওপর চলল হামলা। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের পক্ষ থেকে এল না কোনও রকম সাহায্য। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে এদিন সরব হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। সময় যতই এগোতে থাকে পরিস্থিতি অন্য পথে মোড় নেয়।
আরও পড়ুনঃ জেএনইউ কাণ্ডে অমিতের হস্তক্ষেপ, ইস্তফা দিলেন হস্টেল ওয়ার্ডেন
সন্ধে নামার পরই হঠাৎ কিছু অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি হাতে রড ও ব্যাট পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনা সামনে উঠে আসার পরই তোলপাড় হয় গোটা দেশ। প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানান অপর্না সেন, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, আবির চট্টোপাধ্যায়, অনুপম রায়, সৃজিত মুখোপাধ্যায়।
এদিন ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়াতে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় লেখেন, এটাকে কখনই দূর্ঘটনা বলবেন না, কিংবা পড়ুয়া আততায়ী সংঘর্ষ বলবেন না। এটা জঙ্গী হামলা। অন্যদিকে প্রতিবাদী সুর অপর্না সেনের কলমেও। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই মুখোশধারী গুণ্ডাকারা! এটা কী গুণ্ডা রাজ চলছে! এরা কী এবিভিপি! নাকি আরএসএস! যদি তা জানা নাও থাকে, তবে এরা কারা! কীভাবে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে পরিচালনা করা হচ্ছে! দিল্লি পুলিশ কী করছিলেন!
এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে।- স্পষ্ট ভাষায় এদিন টুইট করেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়। সুকান্তের কলম, রক্তের তেজে রুক্ষে দাঁড়ানো আঠারোকে আজ সমাজের বড়ই প্রয়োজন।
আমি কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছি জেএনইউ ঘটনার, এই মুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়কে সুরক্ষিত করা হক। ঘটনা জানার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় টুইট করেন গায়ক অনুপম রায়।
আমরা দেখে নেব, শেষ দেখার সুরেই এদিন প্রতিবাদী পরিচালকও। নৃশংসতার চরমতম পরিস্থিতি, বলেও দাবি করেন সেলেবরা।
মুহুর্তে মধ্যে নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে সেলিব্রিটিদের এই পোস্ট। রিপোস্ট-এ ভরতে থাকে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাও।