সংক্ষিপ্ত
- প্রয়াত ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনা
- বলিউড থেকে টলিউড, লেজেন্ডের মৃত্যুতে শোকার ছায়া চারিপাশে
- সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক শোকের বার্তা
- রাজ, অঙ্কুশ থেকে রণবীরের, মারাদোনের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন
প্রয়াত হলেন ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো মারাদোনা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন আর্জেন্টিনার ৮৬-র বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক। আর্জেন্তিনার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই ভেঙে পড়েছিলেন মারাদোনা। ঠিক মত খাওয়া দাওয়া পর্যন্ত করছিলেন না। তারপরই বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন মারাদোনা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় হাসপাতালে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছেও যায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফুটবলের রাজপুত্র। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছে বলিউড থেকে শুরু করে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের তারকারা। রাজ চক্রবর্তী, অঙ্কুশ হাজরা, মিমি চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় মারাদোনার ছবি পোস্ট করে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেছেন। অন্যদিকে বলিউডে রণবীর সিং, রীতেশ দেশমুখ, নিমরত কৌর, অনুরাগ কাশ্যপ, সহ অন্যান্যরা শোকপ্রকাশ করেন। সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মারাদোনা।
আরও পড়ুনঃইউভানের বাবা রাজ, বেমালুম ভুলে গিয়ে এ কী করছেন তিনি, শুভশ্রীর প্রতিক্রিয়া হল ভাইরাল
সেই সময় মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সমস্যা ছিল তাঁর। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় অস্ত্রোপচার হয় তার। তারপর গত ১১ নভেম্বর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও, মদ্যপান সংক্রান্ত সমস্যার কারণে সরাসরি তাঁকে বুয়েনস আয়ার্সের একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ৬০ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন ফুটবল কিংবদন্তী।থেকে গেলে শতাব্দীর সেরা গোল, চলে গেলেন হ্যান্ড অফ গড। মারাদোনার ফুটবলজীবন ঘটনাবহুল।
আরও পড়ুনঃবলিউডকে পিছনে ফেলে OSCAR-এর মঞ্চে 'জাল্লিকাট্টু', মনোয়ন পেল মালয়লাম ছবি
১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে তিনি মন্ত্রমুগ্ধ করে দিয়েছিলেন ফুটবলবিশ্বকে। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তাঁর নেতৃত্বে। ১৯৯০ সালে ইতালি বিশ্বকাপেও তিনি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুলেছিলেন। কিন্তু, সেরা করতে পারেননি। ১৯৯৭ সালে ফুটবলকে বিদায় জানান মারাদোনা। শুরু করেন কোচিং। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জাতীয় দলেরও কোচ ছিলেন তিনি। মৃত্যুর সময়ও তিনি ছিলেন আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ক্লাব জিমনাসিয়া ডি লা প্লাটার কোচ। মারাদোনার প্রয়াণের খবরে শোকস্তব্ধ ফুটবল বিশ্ব।