সংক্ষিপ্ত
হাজার হাজার ক্যামেরার সঙ্গে লড়াই করে পথ করে নেওয়া, এর মধ্যে আবেগ কোথায়! সিদ্ধার্থ দাহ কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সপাট প্রশ্ন অনুষ্কার।
প্রয়াত কাছের মানুষ, কান্নায় খান খান পরিবারের সকলে, প্রাণপাত করে তাঁকে শেষ বারের মত চোখের দেখা দেখতে যাওয়া, শরীর মন তখন স্বাভাবিকের থেকে বহু বহু মাইল দূরে। সময় এগোচ্ছে, এগোচ্ছে ঘড়ির কাঁটা। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই নিথর দেহটুকুর দর্শণও মিলবে না। এমন সময় সর্বশক্তি দিয়ে পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার ক্যামেরার সঙ্গে লড়াই করে পথ করে নেওয়া, এর মধ্যে আবেগ কোথায়! সিদ্ধার্থ দাহ কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সপাট প্রশ্ন অনুষ্কার।
সুশান্ত সিং রাজপুত থেকে শুরু করে ঋষি কাপুর বা সিদ্ধার্থ শুক্লা, পরিবারকে ছাপিয়ে যেন দু পা এগিয়ে হাজার হাজার ক্যামেরা। সিদ্ধার্থের নিথর দেহ যখন দাহ হচ্ছে, সেই মুহূর্তের ছবিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি, তাঁর পরিবারের ওপর দিয়ে ঠিক কী ঝড় যাচ্ছে, তা অনুমান করা এদের কাজ নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঁচ পাতায় একটি লেখা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা। জাকির খানের কলমে সব ছবিটাই যেন আরও স্পষ্ট। আত্মাহীন তোমার নিথর দেহ, এদের কাছে কবলই একটা ছবি তোলার সুযোগ মাত্র।
আরও পড়ুন- সিদ্ধার্থ শুক্লা থেকে সুশান্ত ও শ্রীদেবী, এই সব সেলেবদের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে
জ্বলন্ত ঘরের থেকে বাসন চুরির মত দৃশ্য। কারণ এরপর তোমার আর কোনও কাজ নেই। ১০ ছবি, ৫ খবর, বা ভিডিও, এরপর সবটা শেষ। সেলেবদের মৃত্যুতে আবেগ নয়, প্রতিযোগিতা, ঠিক কী ঘটেছিল, সকলের মনের অবস্থা থেকে শুরু করে কে কি খাচ্ছে, পরেছে, কে কোথায় আছে, সম্পূর্ণ খবর ছবিসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়া।
কারণ, এদের কান্নায় ভেঙে পড়া মাও তামাশা, দুঃখে নুব্জে পড়া বাবাও তামাশা। ভাই এমন কি তোমার ভালোবাসার মানুষটিও তামাশা। অনুষ্কার এই পোস্ট ঘিরে ওঠে নয়া সমালোচনার ঝড়, কঠিন বাস্তবকে সঠিক সময় তুলে ধরে আবারও সকলের সামনে নিজেকে পার্ফেক্ট প্রমাণ করলেন বিরাট ঘরনি।