সংক্ষিপ্ত
ক্রুজ পার্টি যেন জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল বাদশার বড় ছেলের জীবন। এনসিবি জেরায় একের পর এক নয়া তথ্য উঠে আসছে। গোটা দেশের নজর এখন শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের মাদক মামলাকে ঘিরে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান আরএম নেরলিকার এজলাসে চলছে এই হাই প্রোফাইল মামলার শুনানি। আজ কি জামিনে ছাড়া পাবেন নাকি জেলেই ঠাঁই হবে শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
মাদককান্ডে এনসিবি-হাতে ধরা পড়েছে বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খান (Aryan khan) । মুম্বইয়ের বিলাসবহুল ক্রুজে রেভ পার্টিতেই মাদক সেবনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আরিয়ান নিজেই। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মানো আরিয়ানের রাজকীয় জীবন যেন মুহূর্তে বদলে গেল। ক্রুজ পার্টি যেন জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল বাদশার বড় ছেলের জীবন। এনসিবি জেরায় একের পর এক নয়া তথ্য উঠে আসছে। গত রবিবার থেকেই এনসিবি হেফাজতে রয়েছেন আরিয়ান খান। বৃহস্পতিবার তাকে কোর্টে পেশ করা হলে মাদককান্ডে শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের (Aryan khan) ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজত মঞ্জুর হয়েছে। ইতিমধ্যেই তারকা পুত্রের জামিনের শুনানিও চলছে আদালতে।
আরও পড়ুন-সুখবর মিলবে শীঘ্রই, এবার বিয়ে নিয়ে বড় খবর জানিয়ে দিলেন মিমি, কী সেই 'Good News'
গোটা দেশের নজর এখন শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের মাদক মামলাকে ঘিরে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান আরএম নেরলিকার এজলাসে চলছে এই হাই প্রোফাইল মামলার শুনানি। আজ কি জামিনে ছাড়া পাবেন নাকি জেলেই ঠাঁই হবে শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্দে বারবার আদালতের কাছে দাবি করছেন আরিয়ানের থেকে কোনও মাদক উদ্ধার হয়নি। তাহলে কেন তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে সাহায্য করছে আরিয়ান পুত্র। অফিসারদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন। এবং ইতিমধ্যেই চার পাতার একটি বিবৃতি নিজের হাতে লিখে দিয়েছেন আরিয়ান।
শুক্রবার সকালে যখন জামিনের মামলা চলছিল তখন কোর্টে দাঁড়িয়ে জামিন পেতে আদালতকে আরিয়ান স্পষ্ট জানান, আমি বলিউডের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে আইনকে ধোকা দেওয়ার ইচ্ছে আমার নেই। আমার বয়স ২৩ বছর, যার আগে কোনও খারাপ রেকর্ড নেই। আমার হয়তো বলিউডে থাকা উচিত ছিল। সেদিন আমি যখন প্রমোদতরীর রেভ পার্টিতে পৌঁছায় তখন ওরা আমায় তল্লাশি চালান কিন্তু কিছুই খুঁজে পায় না। তারপরই আমার মোবাইল ফোন চেক করে সমস্ত ডেটা ডাউনলোড করে নেয়। এমনকী হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও খতিয়ে দেখতে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়। এবং প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত কিছুই তারা পায়নি। এমনকী প্রথম দিনেও অর্চিতের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এনসিবি আধিকারিকরা নিজেদের মতো সময়ও নিয়েছেন তদন্তের জন্য বুধবারই গ্রেফতার করা হয় অর্চিতকে। এনসিবি-র যুক্তি হল আরিয়ানকে হেফাজতে রাখা দরকার যাতে অর্চিতের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে বিস্তারিত জেরা করা যেতে পারে। কিন্তু তা ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টেপ তরফে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। শীর্ষ আদালত এও জানিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত, মুখোমুখি জেরা করা হবে তখনই, যখন কেউ জামিনে ছাড়া পাবে। আরিয়ানের হয়ে এই পুরো মন্তব্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন শাহরুখ পুত্রের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে।
অন্যদিকে এনসিবির হয়ে আদালতে দলিল পেশ করছেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, অনিল সিং। এদিন এনসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় আরিয়ান সহ অপর অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন 'ভুল, এবং গ্রহণযোগ্য নয়'। এএসজি অনিল সিং সাফ জানিয়েছেন, মামলার সরবত্তা বিচার করলে এই আবেদন একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে সেটা আদালতকে বিচার করতে হবে। এবং আবেদন যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তবে সেটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় গিয়ে লাভ নেই। কিন্তু সেটা বিচার করতে হবে আদালতকেই ।
আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্দে পাল্টা দাবিতে জানিয়েছেন, হাইকোর্ট বরাবরই জামিন দিতে চেয়েছে যদিও প্রসিকিউশন সবসময় এর বিরোধিতা করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই উদ্ধার হয়নি শাহরুখ পুত্রর কাছ থেকে। তবে মাদক সেবনের উল্লেখ রয়েছে। যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেপ কথা এনসিবি উল্লেখ করেছে সেটিও মাদক সংক্রান্ত নয়। তিনি আরও বলেছেন যোগ্যতার ভিত্তিতে জামিন দেওয়া উচিত এবং যেহেতু এখনও পর্যন্ত কোনও ড্রাগস পাওয়া যায়নি, সেক্ষেত্রে আরিয়ানকে জামিন দেওয়া উচিত।