সংক্ষিপ্ত
- জীবনের মূলমন্ত্রটা ঠিক আসলে কি তা হাসিমুখে সকলকে বুঝিয়ে দিলেন ঋষি কাপুর
- সকলের থেকে অন্য ভঙ্গিতে নিজের জীবনটা উপভোগ করতেন ঋষি কাপুর
- ঋষি কাপুরকে নিয়ে নিজের মনের কথা ইনস্টাতে তুলে ধরেছেন সঞ্জয় দত্ত
- সঞ্জয়ের খারাপ সময়েও পাশে পেয়েছিলেন ঋষি কাপুরকে
লকডাউনের মধ্যেই চলে গেলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুর। মুম্বইয়ের স্যর এইচএন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আজ সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঋষি কাপুর। তার মৃত্যুতে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ শোকস্তব্ধ। তবে মৃত্যুর আগেও বহু অভিনেতাকেই জীবনের মূল পাঠ শিখিয়ে গেলেন অভিনেতা। জীবনের মূলমন্ত্রটা ঠিক আসলে কি তা হাসিমুখে সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। সত্তরের দশক থেকে বর্তমান জীবনে ১৫০ টার বেশি সিনেমা রয়েছে তার ঝুলিতে। রিল আর রিয়েলের সুক্ষ্ম পার্থক্যটা তিনি কাটায় কাটায় বুঝিয়ে দিলেন।
আরও পড়ুন-চার দশকের এক অমর প্রেমকাহিনি, নামী নায়িকা থেকে ঋষির ছায়া হয়েছিলেন নীতু...
এই বছরটা যেন বলিউডের খুব খারাপ সময়। একের পর এক মহাতারকাকে হারাল ভারতীয় চলচ্চিত্র জগৎ। পরপর দুই দিনে দুই লেজেন্ডের মৃত্যুতে বলি ইন্ডাস্ট্রিতে কালো মেঘ ঘনিয়েছে। অভিনেতা সঞ্জয় দত্তও ভীষণ ভাবে ভেঙে পড়েছেন ঋষি কাপুরের মৃত্যুকে। সকলের থেকে অন্য ভঙ্গিতে নিজের জীবনটা উপভোগ করতেন ঋষি কাপুর। সেই কথাই নিজের ইনস্টাতে তুলে ধরেছেন মুন্নাভাই। দেখে নিন পোস্টটি।
আরও পড়ুন-'প্রতিদিন তোমার করা ফোন মিস করব', ঋদ্ধিমাকে দেওয়া কথা না রেখেই চলে গেলেন ঋষি...
সঞ্জয় দত্ত একটা সময় প্রচুর খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে দিন কাটিয়েছেন। সেই খারাপ সময়েও পাশে পেয়েছিলেন ঋষি কাপুরকে। সঞ্জয় দত্ত দীর্ঘ পোস্টে জানিয়েছেন , 'যে কোনও খারাপ সময়ের কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, তা আমাকে চিন্টু স্যারই শিখিয়েছিলেন। তিনি সবসময় বলতেন যতই খারাপ পরিস্থিতি আসুক না কেন প্রাণভরে বাঁচো। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে এনজয় করো। চোখে চোখ রেখে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করো।' তিনি আরও বলেছেন, 'সারাজীবন চিন্টু স্যারকে মিস করব। আপনিই আমারআদর্শ৷ সবসময় আমার খেয়াল রাখতেন স্যার ৷ কয়েক মাস আগেও যখন স্যারের বাড়িতে ডিনার করেছিলাম তখনও নিজের বাবার মতো আমার যত্ন করছিলেন চিন্টু স্যার ৷ আপনিই আমায় জীবনকে প্রাণ ভরে বাঁচতে শিখিয়েছেন৷ বহু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করে আমি গর্বিত৷ দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন স্যার, কখনও নিজের কষ্টের কথা কাউকে বুঝতে দেননি তিনি ৷ হাজারো কষ্ট-যন্ত্রণার মধ্যেও সবসময়ে হাসতেন৷ নিউ ইয়র্কে যখন স্যারের সঙ্গে ফোনে কথা হল, তখনও কত উচ্ছ্বসিত৷ আজ আমি আমারপরিবারের একজনকে হারালাম। তিনি এমন একজন মানুষ, যিনি আমায় শিখিয়েছেন, জীবনে যা কিছুই ঘটে যাক, হাসতে ভুলো না৷ আমি আপনাকে খুব ভালবাসি চিন্টু স্যার৷'