সংক্ষিপ্ত

  • ট্রেলার মঞ্চেই কেঁদে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন দীপিকা
  • ছবিটার সঙ্গেই দীপিকা ইমোশনালি ভীষণ ভাবে জড়িত
  • অন ক্যামেরার সামনেই কেঁদে ফেলেছেন তিনি
  • জীবনে হার না মেনে জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার গল্প বলবে ছপাক

পরিচালকের কথা মতো বিশ্ব মানবাধিকার দিবসেই মুক্তি পেল বহু প্রতিক্ষিত ছবির ট্রেলার। ২ মিনিট ১৯ সেকেন্ডের এই ট্রেলার দেখা মাত্রই তোলপাড় হতে থাকবে বুকের ভিতরটা। অ্যাসিড আক্রান্ত লক্ষ্মী আগরওয়ালের  জীবনের উপর তৈরি হয়েছে এই ছবি । ছবির প্রতিটি পরতে পরতে উঠে আসবে তার লড়াইয়ের কাহিনি। ছবিতে লক্ষ্মী আগরওয়ালেকর ভূমিকায় দেখা যাবে দীপিকা পাড়ুকোনে।  ছবির ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন দীপিকা। নিজেকে আর ধরে রাখতে না পেরে শেষমেষ অন ক্যামেরার সামনেই কেঁদে ফেলেছেন তিনি। ট্রেলার লঞ্চের দিনই প্রথমবার সকলের সামনে ট্রেলারটি দেখেন তিনি। আর তা দেখা মাত্রই কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। দীপিকা জানিয়েছেন, 'ফলাফল যেমনই হোক, আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে স্পেশ্যাল ছবি 'ছপাক'। পুরো ছবিটার সঙ্গেই আমি ইমোশনালি ভীষণ ভাবে জড়িত'। চরিক্ষের সঙ্গে  দীপিকা এতটাই আবেগঘন হয়ে পড়েছিলেন যে মেঘনার দিকে মাইক বাড়িয়ে তিনি আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেন তারপর মেঘনা  দীপিকাকে সাত্ত্বনা দিয়ে অনুষ্ঠানের হাল ধরেন।

আরও পড়ুন-উন্মুক্ত বক্ষে হট লুকে বাজিমাত রিয়া'র, ছবিতেই মুগ্ধ নেটিজেনরা...

ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে এসে দীপিকা পাড়ুকোনের এই কান্না দেখে নেটিজেনরাও বলতে শুরু করেছেন , ছবিটি তার খুব কাছের। তা নাহলে প্রকাশ্যে এইভাবে আবেগতাড়িত হয়ে কেঁদে ফেলতেন না অভিনেত্রী। অভিনয় করতে হবে বলে অভিনয় নয়, বরং ছবির প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে তিনি একেবারে মিশে গেছেন। দেখে নিন ভিডিওটি।

 

View post on Instagram
 


অত্যন্ত স্পর্শকাতর ট্রেলারটিতে দেখা যাচ্ছে, মুখের চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে একটা চোখ, কান দুটো আরও নেই। আয়নায় নিজের এই চেহারাটা দেখে আঁতকে ওঠে মালতী। সে ভাবতেই পারে না এইরকম একটা ঘটনা তার পুরো চেহারাটাকে এভাবে বিকৃত করে ফেলবে। নিমেষের মধ্যে সবকিছু যেন তছনছ হয়ে যায়। কোনওভাবেই মেনে নিতে পারে না সেইদিনের ঘটনাটা। তারপর অবশেষে  সব কিছু ভুলে মালতী বেরিয়ে আসে। এরপরই শুরু হয় নতুন লড়াই। এভাবে তার লড়াই উঠে এসেছে ছবির ট্রেলারে। যা দেখা মাত্রই আপনিও শিউরে উঠবেন। 

আরও পড়ুন-শীতের পড়ন্ত বিকেলে আদরমাখা চুমু নুসরতের, মুহূর্তে ভাইরাল ছবি...

 এই ছবির হাত ধরেই প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ দীপিকার।  এই ছবিই যেন বদলে দিল তার কেরিয়ার গ্রাফ। গ্ল্যামার, আলোর ঝলকানি সব কিছু দূরে রেখে দীপিকার এই চরিত্র দেখে দর্শকদের মনে ঝড় উঠবে।  অ্যাসিড আক্রান্ত হয়েও জীবনে হার না মেনে  মনের জোরকে হাতিয়ার করে কীভাব জীবন যুদ্ধে জয়ী হবে মালতী তারই গল্প বলবে 'ছপাক'। বাস্তবে অ্যাসিড হামলার পর  লক্ষ্মীর  লড়াই থেমে থাকে নি। একটি সাক্ষাৎকারে লক্ষ্মী জানিয়েছেন, 'সিনেমার দুনিয়া যত রঙিন, বাস্তবে কিন্তু ততটাও নয়। মোট ৭ টা সার্জারির পরও আগের এখনও সুন্দর চেহারা পাননি লক্ষ্মী আগরওয়াল'। পরিচালক মেঘনাও জানিয়েছেন, 'দীপিকা ছাড়া আর কোন অভিনেত্রী একটা প্যাশন নিয়ে মালতীর চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে পারত বলে তিনি মনে করেন না।'  লক্ষ্মী ওরফে মালতীর চরিত্রে কতটা যথাযথ দীপিকা এখন এটাই দেখার। ২০২০ সালে  প্রথম মাসেই মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।