সংক্ষিপ্ত
বর্ডারল্যান্ড ছবিটি নন ফিকশন ক্যাটাগরিতে বেস্ট এডিটিং এর জন্য পুরস্কার পেয়েছে। এই ছবিটি বর্ডারে বসবাসকারী মানুষদের জীবনধারণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এশিয়ানেট নিউজের প্রতিনিধি গার্গী চৌধুরী এই ছবির পরিচালক সমর্থ মহাজনের সঙ্গে কথা বলে ছবির বিষয়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বর্ডারল্যান্ড ছবিটি নন ফিকশন ক্যাটাগরিতে বেস্ট এডিটিং এর জন্য পুরস্কার পেয়েছে। এই ছবিটি বর্ডারে বসবাসকারী মানুষদের জীবনধারণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এশিয়ানেট নিউজের প্রতিনিধি গার্গী চৌধুরী এই ছবির পরিচালক সমর্থ মহাজনের সঙ্গে কথা বলে ছবির বিষয়ে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
নন ফিকশন ক্যাটাগরিতে বেস্ট এডিটিং-এর জন্য বর্ডারল্যান্ড পুরস্কার পেয়েছে ৬৮ ন্যাশনাল ফিল্মফেয়ার এওয়ার্ড। এই ৬৭ মিনিটের ডোকুমেন্টরিতে দেখানো হয়েছে বর্ডারের বসবাসকারী মানুষেরা কিভাবে নানারকম প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করেন। পরিচালকের মতে, 'এই ডোকুমেন্টরিতে সম্রা তুলে ধরতে চেয়েছি, বর্ডারকে একটি বিভাজন সৃষ্টিকারী মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়, যাকে অপরাধের আঁতুরঘর বলে বিবেচনা করা হয়, সেই বর্ডারে বসবাস করা মানুষদের মধ্যে থাকা মানবিকতার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে এবং করল বোর্ডের রিলেশনশীপের বিষয় দেখানো হয়েছে।' এই রকম একটি বিষয়ে ডকুমেন্টারি তৈরি করার নেপথ্যে ঠিক কি ভাবনা কাজ করেছে জানতে চাওয়া হলে পরিচালক সমর্থ উত্তর দেন, 'আমি নিজে বর্ডার এলাকায় বড় হয়েছি, সুতরাং বর্ডারে থাকা মানুষজনদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা তাঁদের সঙ্গে মিশে যাওয়া এসবের মধ্যে দিয়েই আমি বড় হয়েছি। আমার আগের প্রজেক্টটি করার সময় আমার একজন কাশ্মীরি যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় যে আমাকে বলেছিল সে পাকিস্তানকে সমর্থন করে যেখানে তাঁর নয়নের দাদা একজন আর্মিম্যান, ইন্ডিয়ার সমর্থক।তখন সেবামকে আরও বলে যে ভারত যদি তাঁকে চাকরি দেয় তবে সেও ভারতকে সাপোর্ট করবে। এতিভামসকে বুঝতে শেখায় যে সে যে সত্যি কথাটা সাহস করে বলেছে সেটাই প্রত্যেকটি বর্ডার-ল্যান্ড মানুষের প্রতি মুহূর্তে অনুভব করে। এর ফলে বর্ডার-এরিয়ার মানুষদের কপকর রিসার্চ করার আগ্রহ তৈরি হয় আমার মধ্যে।'
এই ছবিতে কোনো পেশাদার অভিনেতা বা অভিনেত্রীকে নেওয়া হয়নি, কিবশ্বে তাঁদেরকে প্রস্তুত করেছেন তিনি এই ডোকুমেন্টরিতে অভিনয়ের জন্য, এই বিষয়ে পরিচালক বলেন, 'আমরা কোনোরকম ক্যামেরা বা যন্ত্রপাতি ছাড়াই তাঁদের সঙ্গে ফেলা করে কথা বলেছিলাম যেটা তাঁদেরকে কমফোর্টেবল ফিল করায়। আমরা তাঁদের রোজকার রুটিন ও জীবনধারা ফল করেছিলাম যাতে শট নিতে সুবিধে হয়।' এই ছবিটি দর্শকদের মধ্যে কতটা সাড়া ফেলবে সে বিষয়ে সমর্থ বলেন, ' একটি ফিল্ম এক একজনের কাছে এক এক রকম ভাবে প্রতিফলিত হয়। আমাদের দেশের আইন একটি জায়গার লোকেদের কথা এখানে তুলে ধরা হয়েছে যারা অনেকদিন ধরে অবহেলিত হয়ে আসছে, তাঁদের কথা কেউ শোনার নেই। তাঁদের তুলনায় আমরা যথেষ্ট সুবিধা পাই। আমরা যারা মেইনল্যান্ডে বাস করি তাঁদের পক্ষে যে কোনো মতামত দেওয়া খুব সহজ, আমরা সহজেই বটে পারি যে আমরা অমুক দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই, কিন্তু এই যুদ্ধের ফলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই বর্ডার অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষেরা, আমার মনে হয় দর্শক সেটা বুঝতে পারবেন ছবিটি দেখার পর।'