সংক্ষিপ্ত
- কথায় আছে, ইচ্ছে থাকলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়
- কিন্তু পেটের টান থাকলে সেই ইচ্ছে পূরণ করা বেশ কঠিন হয়ে যায়
- কিন্তু প্যাশনের অভাব না থাকলে সে সবও অতিক্রম করা যায়
- তা-ই প্রমাণ করলেন চেতন রাও
কথায় আছে, ইচ্ছে থাকলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। কিন্তু পেটের টান থাকলে সেই ইচ্ছে পূরণ করা বেশ কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু প্যাশনের অভাব না থাকলে সে সবও অতিক্রম করা যায়। তা-ই প্রমাণ করলেন চেতন রাও।
যাঁরা ওয়েব সিরিজ বা টিভি সিরিয়াল দেখেন তাঁদের কাছে চেতন এখন বেশ চেনা মুখ। সম্প্রতি সলমন খানের ভারত ছবিতেও একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছেন চেতন রাও। কিন্তু প্যাশন অভিনয় হলেও, এ জগতে আসার রাস্তাটা মোটেও মসৃণ না চেতনের। রুজি রুটির জন্য দিল্লিতে সুইগির ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করেন তিনি।
সম্প্রতি অভিনেতা রাজেশ তাইল্যাং তাঁকে নিয়ে একটি টুইটও করেন। অভিনেতা রাজেশ তাইল্যাং ও চেতন একসঙ্গে নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ দিল্লি ক্রাইমে অভিনয় করেন। রাজেশ টুইট করে লেখেন, আমার বাড়িতে যে সুইগি ডেলিভারি খাবার দিতেন আজ তিনি একজন অভিনেতা। ও আমার সঙ্গে দিল্লি ক্রাইমে অভিনয় করেছে। যখন হাতে অভিনয়ের কাজ থাকে না, তখন ও খাবার ডেলিভারির কাজ করে। রেসপেক্ট।
চেতন কল্যাণপুরির বাসিন্দা। কিন্তু শ্যুটিংয়ের প্রয়োজনে সারা দেশ ঘুরে বেড়াতে হয় তাঁকে। ২৯ বছরের এই যুবকের লক্ষ্যই হল ভাল অভিনেতা হয়ে ওঠা। তাই ছোট ভূমিকা পেলেও ঠিক পটলবাবু ফিল্মস্টারের প্রধান চরিত্রের মতোই তা-ও মন দিয়ে করেন চেতন।
চেতন এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, আমি সাধারণত ২-৩ মিনিটের জন্য অভিনয়ের সুযোগ পাই। কিন্তু সেটা আমার কাছে কোনও বিষয় নয়। এক মিনিটের রোল হলেও তা আমি মন দিয়ে করব।
চেতন আরও বলেন, আমার টিভি আর সিনেমা দেখতে খুব ভাল লাগে। আমি সব সময়ে অভিনেতা হতে চেয়েছি। ভেবেছিলান ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়ার পয়সা নেই। তাই থিয়েটার করি। কিন্তু পয়সাই তো ছিল না। তাই তখন টিভি দেখেই অভিনয় শিখতে শুরু করলাম।
এক সময়ে ফিল্মের সেটে স্পট বয় হিসেবেও কাজ করেছেন চেতন। সেখানেও বিভিন্ন অভিনেতার থেকে অভিনয় শিখেছেন তিনি। ঘরে গিয়ে তাঁদের সংলাপগুলি আওড়াতেন।
প্রসঙ্গত, সাবধান ইন্ডিয়া, দিল্লি ক্রাইম-এ অভিনয় করেছেন তিনি। সদ্য সলমনের ভারত ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।