সংক্ষিপ্ত

ছবিতে বারে বারে যে সিদ্ধান্ত আলিশা নিয়েছে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাকে সমর্থন করেন না দীপিকা পাড়ুকোন, ছবির চরিত্রকে নিয়ে কোনও সাফাই নয়, বরং ছবির চরিত্রে পাঠ করে তিনি তা ১০০ শতাংশ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, তাই বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। 

গেহরাইয়া ছবি (Gehraiyaan Movie Controversy) ঘিরে বিতর্কের যেন শেষ নেই, কখনও সামনে উঠে আসছে শারীরিক সম্পর্কের জেরে ছবির ব্যবসা প্রসঙ্গ, কখনও আবার সামনে উঠে আসছে ছবির চিত্রনাট্য, একের পর এক বিতর্কের মাঝে বারে বারে মুখ খুলে পাল্টা জবাব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দীপিকা (Deepiak Padukone-Siddhant Chaturvedi) থেকে শুরু করে সিদ্ধার্থ, এবারও তার ব্যতিক্রম রইল না। একটি ছবি করা মানেই সেই চরিত্র হয়ে ওঠাই প্রধান কাজ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের (Movie Cast)। ঠিক ভূলের বিচার নয়, ভিলেনকে ভিলেনের যুক্তিতেই ছবিকে গ্রহণ করে তা পর্দায় ফুঁটিয়ে তুলতে হয়। কিন্তু গেহরাইয়ার (Gehraiyaan) ক্ষেত্রে এই সহজ সমীকরণ বেশ খানিকটা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে নেট দুনিয়া থেকে সাধারণের। তাই একের পর এক প্রসঙ্গ ঘিরে বারে বারে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে ছবির কাস্ট থেকে শুরু করে পরিচালককে (Movie Director Shakun Batra)। 

এবার খোদ দীপিকাই সাফ জাানিয়ে দিল, ছবির চরিত্রের নিরিখে বিচার করা নয়, কারণ ছবিতে বারে বারে যে সিদ্ধান্ত আলিশা নিয়েছে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তাকে সমর্থন করেন না দীপিকা পাড়ুকোন, ছবির চরিত্রকে নিয়ে কোনও সাফাই নয়, বরং ছবির চরিত্রে পাঠ করে তিনি তা ১০০ শতাংশ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, তাই বারে বারে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাঁর অভিনয়ের দাপটের প্রসঙ্গে নতুন করে কিছু বলার নেই, দীপিকাকে যখন যে চরিত্রে ফেলা যায়, তখন তিনি ঠিক সেই চরিত্রের মত করেই নিজেকে গড়ে নেন, এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি, সমস্যা বা প্রশ্ন যখন ওঠে চিত্রনাট্য ঘিরে, অভিনেতা- অভিনেত্রীর সে ক্ষেত্রে তেমন কিছু করার থাকে না। 

আরও পড়ুন- ইচ্ছা করেই বাপ্পি লাহিড়ির শেষকৃত্যে আসেননি 'মহাগুরু', কেন আসলেন না মিঠুন জানুন সত্য

আরও পড়ুন- বাবা-ছেলেরা মিলেই চলছে নাচ, হাসিমুখে বাপি লাহিড়ীকে স্মরণ ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুনের

আরও পড়ুন- এবার সমকামীতার গল্প বলতে আসছেন বাঙালি পরিচালক অনীক, কলকাতায় হল সিনেমা

দীপিকার নিজের এই জায়গাটা সাফ করে দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টই জানিয়েছেন যে ছবির স্বার্থে যে কোনও চরিত্র হয়ে ওঠাটাি প্রধান কাজ। মন বদল, সম্পর্কের বোঝা পড়া, বিশ্বাস অবিশ্বাস, আর সেখান থেকেই নতুন স্বপ্ন দেখার পথটা যেন আরও গভীর। দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone), সম্পর্কের নিরিখে মোটেই সুখী নয়, অন্যদিকে তাঁর বোন বেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছে প্রতিটা পদে পদে জড়িয়ে থাকা জীবনের মূল্যবান মুহূর্তেগুলো। এমনই এক সময় চার ব্যক্তির মুখোমুখি আলাপ, সম্পর্কের জল গড়ায় উল্টো পথে, সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী (Siddhant Chaturbedi) ও দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone) একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে থাকে। অনুভূতি গুলো বাড়তে থাকলেও বিবেকের কাছে বারে বারে প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া, এর পরিণতী ভয়ানক, সেই গল্পেই বেজায় আপত্তি ভক্তমহলের।