সংক্ষিপ্ত
- পর পর তিন দিন ধরে চলল জেরা
- সম্পত্তি নেয় সঠিক উত্তর দিতে পারল না রিয়া
- এবার কড়া পদক্ষেপ নিল ইডি
- বাজেয়াপ্ত করা হল ফোন-গ্যাজেট
বিপুল সম্পত্তি ঠিক কীভাবে তৈরি করলেন রিয়া, কীভাবে সম্ভব হল তাঁর পক্ষে দু-দুটি ফ্ল্যাট কেনা, উত্তর মিলছিল না, তাই তড়িঘড়ি তাঁকে ও তাঁর ভাই-বাবাকে ইডির দফতর থেকে তলব করা হয়েছিল। সুশান্তের বাবা ১৬ দফার একটি লিখিত অভিযোগ বিহারে দায়ের করে রিয়ার নামে আর্থিক তচ্ছরূপের অভিযোগ এনেছিলেন। তারপরই নড়েচড়ে বসেছিল ইডির দফতর। সুক্রবারই তাঁকে জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনঃ ইউরোপ ভ্রমণেই মানসিক সমস্যা আঁচ করেছিলেন রিয়া, বন্ধ ঘরে কী করছিলেন সুশান্ত
কখনও ৯ ঘণ্টা, কখনও আবার ১৮ ঘণ্টা, জেরার মুখে পড়েছিল রিয়া ও তাঁর পরিবার। কিন্তু অর্থের বিষয় খোলসা করে কিছুই বলতে পারছেন না রিয়া। অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তরই মিলছে ভুলে গিয়েছি, কখনও আবার উত্তরে শুধুই জানি না। ফলে সন্তুষ্ট হতে পারল ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হল রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই ও বাবার মোবাইল ফোন। পাশাপাশি তাঁদের যত গ্যাজেট আছে সবই নেওয়া হল ইডির দখলে, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট প্রভৃতি।
আয়কর দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক বছরে সম্পত্তি বেড়েছে ১০ গুণ ৷ ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে যা ছিল ৯৬ হাজার ২৮১ টাকা, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে প্রায় ১০ গুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯ লক্ষ ৫ হাজার ৫৯৭ টাকা ৷ কিন্তু রিয়ার আয় ছিল দেড় লক্ষ্য টাকা। তবে কীভাবে েই পরিমাণ সম্পত্তি তাঁর নামে হল! প্রশ্ন উঠলেও রিয়ার পক্ষে জবাব দেওয়া সম্ভবপর হয়নি। তাই এবার কড়া হাতে সিদ্ধান্ত নিল ইডি।