সংক্ষিপ্ত
ট্রেলারের বিশেষ ১০টি বৈশিষ্ট কি নজরে এসেছে! চলুন, জেনে নেওয়া যাক, কতটা সুক্ষ্ম ও সুন্দর করে এই ছবিকে সাজানো হয়েছে।
৮৩ ছবি (83 Movie) এক কথায় বলতে গেলে দীর্ঘ প্রতিক্ষিত ছবির মধ্যে অন্যতম। ২০১৯ সাল থেকে এই ছবি ভক্তদের মনে কৌতুহলের সৃষ্টি করেছে। ভারতের ক্রিকেট দলের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস এবার পর্দায় বুনলেন রণবীর সিং। বিপরীতে থাকবেন দীপিকা পাড়ুকোন। ট্রেলার মুক্তিতেই দর্শকদের খিদে এই ছবি ঘিরে আরও বেশ কিছুটা বেড়ে গিয়েছে। মাঠে নামার স্বপ্ন, হাটে ব্যাট নিয়ে জার্সি পরে দেশের জন্য খেলে সম্মান ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন, বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন, প্রথম গোটা বিশ্বকে চমকে গিয়ে কাপ ঘরে তুলেছিলেন কপিল বাহিনি। প্রত্যেকের লড়াই এক সুক্ষ্ম গল্পই এই ছবির আদ্যপান্ত জুড়ে রয়েছে।
শেষ বল, ব্যাটে লাগতেই হাওয়াতে, ছয় না আউট, রুদ্ধশ্বাস গ্যালারি, ১৯৮৩ সালের স্মৃতিতে ভাসল আরও একবার ভারত (Team India) , মুক্তি পেল ৮৩ ছবির ট্রেলার, মুহূর্তে ঝড় উঠল নেট পাড়ায়। সঙ্গে আরও এক চমক। বহু প্রতিক্ষীত এই ছবি মুক্তি পেতে চলেছে বড়দিনে। ট্রেলার মুক্তির খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন রণবীর সিং (Ranveer Singh)। এবার প্রসঙ্গে সেই ছবির ট্রেলার। এই ট্রেলারের বিশেষ ১০টি বৈশিষ্ট কি নজরে এসেছে! চলুন, জেনে নেওয়া যাক, কতটা সুক্ষ্ম ও সুন্দর করে এই ছবিকে সাজানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-Amitabh-Jaya : বিচ্ছেদ নাকি অন্য কিছু, জয়ার সঙ্গে আমচকাই কেন কথা বন্ধ করে দিলেন অমিতাভ
১, কপিল দেবের মত কথা বলতে চেষ্টা করেছেন রণবীর সিং। রণবীরের লুক, গালে তিল যা এই ছবিকে জীবন্ত করে তুলবে।
২. সত্যি কারের ছবি দেখানো হয়েছে, ১৯৮৩-তে ভারতীয় ক্রিকেট টিমের একটি ছবি তোলা হয়, যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে আসল ছবি।
৩. মদনলালের চরিত্রে পুরো পুরি কপি করে নেওয়া হয়েছে, তা বল করার ধরন দেখলেই মালুম পাবেন ক্রিকেট প্রেমীরা।
৪. ট্রেলারে একটা জায়গায় দেখা যায়, ট্রেচার নিয়ে দৌরতে, মাঠের মধ্যে সবার ব্যস্ততা, আবার ক্লোজ ফ্রেমে শার্টে রক্তের দাগ, সব মিলিয়ে বোঝা যায় খুব সুক্ষ্মভাবে সাজানো এই ছবি।
৫. রণবীরের গালে কাটা দাগ, যা গলি বয় ছবিতেও দেখা গিয়েছিল, অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন, যে তা কপিল দেবের মুখের আদল, কিন্তু আদেও তা নয়, এটা রণবীরেরই গালের দাল। কিন্তু তা মুছে ফেলা হয়নি। এতে অভিনেতার সতন্ত্রতা বজায় থাকে।
৬. ইন্ডিয়া জিম্বাবয়ের ম্যাচের দৃশ্য, প্যাভিলন থেকে শুরু করে পেছনের গাছ, ফুল, সবটাই দেখানো হয়েছে আসলের মতই। একই মাঝে শ্যুট করা হয়। যার ফলে আসল খেলাই মনে হয় কয়েক ঝলকে।
৭. বিজ্ঞাপনের নিখুঁত ব্যবহার, কভার বিজ্ঞাপন ছবির দুনিয়ায় নতুন নয়। এই ছবিতে কারেরা সংস্থার বিজ্ঞাপন একাধিকবার দেখা যায়। কিন্তু এই সময় এই সংস্থাটি ছিলই না। কিন্তু বর্তমানে তার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর রণবীর সিং। আর ঠিক সেই কারণেই ছবিতে এর ব্যবহার, যা নিঃসন্দেহে স্মার্ট প্রক্রিয়া।
৮. একঝলকের জন্য দেখা মেলে নীনা গুপ্তার, তিনি কোন ম্যাচ দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না, যার ফলে বোঝাই যায় যে তিনি কোনও ক্রিকেটরের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন।
৯. ছবিতে বোমান ইরানিকে দেখা যায়, এক ঝলকে বোঝা যায় যে তিনি কোনও কমেন্টারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন, অবিশ্বাস্য ফলাফলে চোখে জল।
১০. ছবিতে যেভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিসের খেলোয়ারদের দেখানো হয়েছে, নিঃসন্দেহে তা প্রশংসার দাবিদার। অনেকে এই বিশয়গুলো নজর করলেও, অনেকেরই হয়তো চোখ এরিয়েছে, তাদের জন্যই রইল এই ছবির বিশেষ কিছু পজিটিভ দিক, যা ছবির প্রতি খিদে অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে।