সংক্ষিপ্ত
সপ্তাহান্তে ওটিটি-তে বাজিমাত বব বিশ্বাসের।ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুজয় ঘোষের কন্যা দিয়া অন্নপূর্ণা ঘোষ।
সপ্তাহান্তে ওটিটি-তে বাজিমাত বব বিশ্বাসের ( Bob Biswas)। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সুজয় ঘোষের ( Sujoy Ghosh) কন্যা দিয়া অন্নপূর্ণা ঘোষ ( Annapurna Ghosh )। এছবির টাইটেল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan)। কহানিতে ববের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন শ্বাশত চট্টোপাধ্যায়। ছবির অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রাঙ্গদা সিং, পরাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়, পূরব কোহলি, বরুন চন্দ, ভানু উদয়, কাঞ্চন মল্লিক, রথিন অরোরা, সামারা তিজোরি, বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়, কুণাল ভার্মা, ইউসুফ হুসেন। অবশেষে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তির পর সব জল্পনার যবনিকা টানল বব বিশ্বাস। এছবির প্রযোজনা করেছে শাহরুখ ও গোরী খানের রেড চিলিস এন্টারটেইনমেন্ট।
কহানি ছবির শেষে দেখা গিয়েছিল, বিদ্যা বালনকে শেষ করে দিতে গিয়ে ভয়াবহ সড় দুর্ঘটনায় শিকার হয়েছিলেন বব বিশ্বাস। তারপর যে কেটে গিয়েছে দীর্ঘ আট বছর। এরপরেই যে কোমা থেকে উঠে আসবে সুপারি কিলার চরিত্রে অভিনীত অভিষেক বচ্চন। কিন্তু 'কহানী'মে টুইস্ট। অতীতের কোনও স্মৃতিই তার কোমা থেকে ফিরে মনে নেই। অ্যামনেসিয়া আক্রান্ত বব বিশ্বাস-র কাহিনী এই ছবি। অপরাধ জগতের সব কিছুই এখন স্মৃতি। তব এখানেই শেষ নয়, নিজের স্ত্রী মেরি, দুই সন্তান বেনি বা মিনির কথাও ভূলে গিয়েছে বব বিশ্বাস। নতুন জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবার চেষ্টায় রয়েছে সে। এহেন মুহূর্তেই একদিন আচমকা তুলে নিয়ে যায় দুুই পুলিশ কর্মী যিশু নারাগ এবং খরাজ সাহু। ঘটনার মোড় ঘোরে। আগের অপরাধের স্মৃতি মনে না থাকলেও নতুন করে আরও একবার অন্ধকার জগতে ফেরার নির্দেশ পায় বব বিশ্বাস। আবার ভদ্রভাবে হাসিমুখে খুন করতে হবে বব বিশ্বাসকে। নিরীহ বিমা এজেন্টের ছদ্মবেশের আড়ালে লুকোনো ভাড়াটে শুটার বব বিশ্বাস অন্ধকার জগতে ফেরার পথেই ধীরে ধীরে ভিতরের স্ফুলিঙ্গগুলি ফের নতুন করে খুজে পায়। এরপর খুব দ্রুতই বন্দুক জুড়ে ফেলতে সক্ষম হয় অ্যামেনসিয়ায় আক্রান্ত বব।
শুরুটা করেছিলেন সুজয় ঘোষ। এবার তার নতুন আঙ্গিক দিলেন তার মেয়ে। তবে পরিচালনা ভাল হলেও সুজয় ঘোষের গল্পটা আরও ভাল হতে পারত। তবে কিছু প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে মনে। কী কারণে চিত্রাঙ্গতার প্রথম স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল, কীভাবে তিনি বব বিশ্বাসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন, তার পিছনের গল্পের স্পষ্ট ধারণা নেই। বব বিশ্বাসের স্ত্রী মেরি-র ভূমিকায় সাবলীল অভিনয় করেছেন চিত্রাঙ্গদা সিং। সাপোর্টিং ক্যারেকটারগুলি এই ছবি শেষ অবধি থাকবে না। কহানির সাত্যকির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পরব্রত। ইন্টালিজেন্স ব্যুরো অফিসারের ভূমিকায় দুরন্ত অভিনয় করেছিলেন নওয়াজ উদ্দিন। এক দশক পরেও এরা আজও আগের মতোই মায়াবী। তবে এছবির ডেভিড বা যিশুদের স্থায়িত্বকাল নিয়ে একথা আপনাকে ভাবাবে। কালিদার চরিত্র অসধারণ অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়। ক্যামেরায় মন ছুয়েছেন গৈরিক সরকার। তবে আরও ভালভাবে করা যেতে পারত। কহানির আইকনিক প্ল্যাটফর্মের দৃশ্যও এখানে মিসিং লাগছে। পাশাপাশি ক্লিনটন সেরেজো,বিয়াঙ্কা গোমসা, বিশাল -শেখর, অনুপম রায়ের সঙ্গীত এবং ব্যাকগ্রাউন্ড সেভাবে আগ্রহ তৈরি করে না। তাই মনে পড়বে কহানির একলা চলোরে গানও।