সংক্ষিপ্ত
এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "এই সুর সম্রাজ্ঞীর মৃত্যুতে উপমহাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হল। লতা মঙ্গেশকর তাঁর কর্মের মধ্য দিয়ে চিরদিন এ অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।" প্রধানমন্ত্রী তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানান।
দেবী সরস্বতীর সঙ্গে তুলনা করা হত লতা মঙ্গেশকরকে। বলা হত তাঁর কণ্ঠে সাক্ষাৎ দেবীর অবস্থান। সরস্বতী পুজোর (Saraswati Puja) লগ্ন এখনও রয়েছে। আর সেই পুজোর আবহেই চলে গেলেন সুর সম্রাজ্ঞী। আজ সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ২৮ দিনের লড়াই শেষে আজই হার মানেন। আর তাঁর প্রয়াণের মধ্যে দিয়ে শেষ হল এক ইতিহাসের। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা দেশেই। শোকপ্রকাশ করেছেন অনেকেই। তবে শুধুমাত্র দেশবাসীই নন। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও (Sheikh Hasina)।
এক শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "এই সুর সম্রাজ্ঞীর মৃত্যুতে উপমহাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে এক বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হল। লতা মঙ্গেশকর তাঁর কর্মের মধ্য দিয়ে চিরদিন এ অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।" প্রধানমন্ত্রী তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন- রবিবার সকালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, প্রয়াত সুর-সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, শোকের ছায়া দেশ জুড়ে
কয়েকদিন ধরেই লতা মঙ্গেশকরের শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ১১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে (Breach Candy Hospital) ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। পরে নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হন তিনি। তারপর থেকে আইসিইই-তেই (ICU) ছিলেন তিনি। প্রায় একমাস ধরে হাসপাতালে লড়াই করছিলেন তিনি। তবে শরীর মাঝে মধ্যেই খারাপ হয়ে যাচ্ছিল। আজ ভালো তো কালই আবার খারাপ হয়ে যাচ্ছিল তাঁর শরীর (Health Condition)। সেভাবেই লড়াই জারি রেখেছিলেন। কিন্তু, গতকাল শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হওয়ায় তাঁকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে (Ventilator)। তবে সেই লড়াইয়ে আর জিততে পারেননি তিনি। আজ সকাল ৮টা ১২ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
আরও পড়ুন- 'সঙ্গীত যতদিন থাকবে, ততদিন বেঁচে থাকবেন লতা মঙ্গেশকর', শোকবার্তা লোপামুদ্রার
২৮ দিনের দীর্ঘ লড়াই শেষে হার মানেন লতা মঙ্গেশকর (lata mangeshkar)। শনিবার দুপুরেই তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তখন থেকেই চলছিল অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট (Agressive Treatment)। চিকিৎসকদের কথায় তিনি প্রাথমিক অবস্থায় টলারেট করছিলেন এই চিকিৎসা পদ্ধতি, রাতের দিকে অবস্থার উন্নতিও ঘটে। তবে শনিবারই তাঁকে তড়িঘড়ি আইসিইউ থেকে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে, শুরু করা হয় অ্যাগ্রেসিভ ট্রিটমেন্ট। সেই চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। শনিবার রাতেই হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সেই খবর সকলকে জানিয়েছিলেন তাঁর বোন তথা গায়িকা আশা ভোঁসলে। রবিবার সকালে শেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, চিকিৎসকের কড়া নজরদারিতেই ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল তাঁকে। ভেন্টিলেশনেই ছিলেন তিনি। তবে শনিবারই একাধিক সেলেব থেকে রাজনীতিবিদরা তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। কিন্তু, রবিবার সকাল হতে না হতেই ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করে। তারপর আর লড়াই জারি রাখতে পারেননি তিনি। অবশেষে হার মেনে পাড়ি দেন না ফেরার দেশে।
আরও পড়ুন- হেমা মালিনি, শাবানা আজমি থেকে শুরু করে অক্ষয়-অজয়, শোকস্তবদ্ধ লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণের খবরে