সংক্ষিপ্ত

  • মা হলেন প্লেব্যাক সিঙ্গার শ্রেয়া ঘোষাল
  • শ্রেয়া এবং তাঁর স্বামী এই কথা জানিয়েছেন
  • ২০১৫ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন শ্রেয়া
  • দম্পতিকে অভিনন্দনে ভরিয়ে দিচ্ছেন সকলে 

টুইটার থেকে ইনস্টাগ্রাম- সবখানেই এখন শুধুই শ্রেয়া ঘোষাল এবং তাঁর স্বামী শিলাদিত্য-কে অভিনন্দনের বন্যা। কারণ, সন্তানের জনক-জননী হলেন শ্রেয়া ঘোষাল এবং শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে তাঁদের ঘর আলো করে জন্ম নিল এক ফুটফুটে পুত্র সন্তান। শ্রেয়া এবং তাঁর স্বামী শিলাদিত্য তাঁদের সন্তান জন্মের কথা ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই এই দম্পতিকে অভিনন্দনের বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন নেটিজেনরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া যে বার্তা ইংরাজিতে দিয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল এবং তাঁর স্বামী, তার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়- 'আজ বিকেলে ভগবান কৃপায় আমাদের কোল আলো করে জন্ম নিয়েছে অসামান্য ফুটফুটে পুত্র সন্তান। এটা এমন এক আবেগঘন মুহূর্ত যা কোনওভাবেই কোনওদিন এরআগে অনুভব করিনি। শিলাদিত্য এবং আমার পরিবারে খুশি যেন উপচে পড়ছে। আপনাদের সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সুখময় জীবনে এমন অসাধারণ আশীর্বাদের জন্য। ' 

আরও পড়ুন- কেউ ৮ লাখ, কেউ ১৩ লাখ, হায়েস্ট পেড শিল্পী কারা! গান প্রতি কে কত নেন

চলতি বছরের মার্চের শুরুতে নিজের গর্ভবতী হওয়ার খবর শেয়ার করেছিলেন শ্রেয়া ঘোষাল। ৩৬ বছরের জনপ্রিয় এই সঙ্গীতশিল্পী তাঁর বেবি বাম্পের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন সে সময়। ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে শেয়ার করা সেই ছবিতে শ্রেয়া আবার লিখেছিলেন- 'বেবি#শ্রেয়াদিত্য অন ইটস ওয়ে! শিলাদিত্য এবং আমি আপনাদের সঙ্গে এই খবর শেয়ার করতে পেরে রোমাঞ্চিত।' এমনকী সেই ছবিতে একটা ক্যাপশনও দিয়েছিলেন শ্রেয়া। যাতে লেখা ছিল 'আমাদের জীবনের এই নতুন অধ্যায়ের সূচনালগ্নে আপনাদের সকলের ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ আমাদের অতি প্রয়োজন'।  

আরও পড়ুন- হাতে মেহেন্দি, মাথায় মুকুট, কনে সাজে ছবি শেয়ার করলেন শ্রেয়া

২০১৫ সালে শিলাদিত্য মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধেন শ্রেয়া। এর আগে একদশক ধরে শিলাদিত্যর বাগদত্তা ছিলেন তিনি। বাংলার সঙ্গে নাড়ির টান থাকলেও শ্রেয়া ঘোষালের শৈশব থেকে বড় হওয়া পুরোটাই প্রবাসে। কখনও রাজস্থান তো কখনও অন্য কোনও রাজ্য। বাড়িতে মা-এর কাছেই গানের হাতে খড়ি। শ্রেয়ার মা বিয়ের আগে বহরমপুরে বাপের বাড়িতে থাকাকালীন মেধাবী ছাত্রী এবং সঙ্গীতশিল্পী হিসাবেও নাম করেছিলেন। বিয়ের পর সংসারের প্রয়োজনে চাকরি ছেড়ে দিলেও গান-কে কখনও কাছছাড়া করেননি তিনি। তাঁর সেই গানের প্রতি টান মেয়ে শ্রেয়া যেন রক্তের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়েছিল। খুব ছোট বয়সেই জিসারেগামা-য় টানা ১৩টি এপিসোডে গায়িকা হিসাবে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন শ্রেয়া। এই কৃতিত্ব তাঁকে মুম্বইয়ের বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী এবং সুরকারদের নজরে নিয়ে আসে। এরপর আজ শ্রেয়া ঘোষাল তাঁর গায়িকিতে যে স্থানে পৌঁছেছেন তাতে তিনি ভারতীয় প্লেব্যাক সিঙ্গিং-এর ইতিহাসে একটি চরিত্র হয়ে গিয়েছেন। 

আরও পড়ুন- 'জয় জয় কেদারা' গানে ভাইরাল হলেন অমিতাভ, শেয়ার করলেন ভিডিও