সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু বিচার চাই  এই স্লোগানেই প্রতিবাদ চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় করণ জোহার থেকে শুরু করে সলমন খানের ভক্তরাও মুখ ফিরিয়ে নিল তাঁদের থেকে নিন্দায় ভরছে সোশ্যাল মিডিয়া 

সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে বয়কট বলিউড মাফিয়া নামে পিটিশন। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে এই গ্যাংকে। যেখানে ঝড়ের গতিতে সই করে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউজাররা। বলিউড মাফিয়া গ্যাংয়ের মধ্যে নাম রয়েছে করণ জোহার, সলমন খান, সঞ্জয় লীলা বনশালী, একতা কাপুর, দিনেশ বিজন, ভূষণ কুমার, আদিত্য চোপড়া, আলিয়া ভাট, মহেশ ভাট, মুকেশ ভাট, রিয়া চক্রবর্তী এবং সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। এদের মধ্যে যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ অ্যাক্টিভ তাঁদের ফলোয়াড় সংখ্যা কমে চলেছে ক্রমশ। ভক্তরা যেখানে তাঁদের পোস্টের জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকত ভক্তরা, নেটিজেনরা, সেখানে তারা একে একে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সেলেব্রিটিদের থেকে। করণ জোহারের ফলোয়াড়দের সংখ্যা কমেছে সবচেয়ে বেশি।

আরও পড়ুনঃটোন্ড ফিগার, গ্ল্যামারের পাশাপাশি অফুরান এনার্জি, কঙ্গনার ডায়েটের রহস্য কী

সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করার পাশাপাশি, ব্যান করার দাবি উঠছে তাঁদের ছবি। পিটিশন সই করাও চলতে চলতেই, বিহারে আইনজীবি সুধীর কুমার ওঝা ইতিমধ্যেই ভারতীয় দন্ডবিধি অনুযায়ী, ৩০৬, ১০৯, ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছেন সলমন, করণ, সঞ্জয়, একতা, দিনেশ বিজন, ভূষণ কুমার, আদিত্য চোপড়া, সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার বিরুদ্ধে। গোটা দেশ এঁদের এবং স্টারকিডদের বিরুদ্ধে ফুঁসছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই টার্গেট করা হচ্ছে তাঁদের। করণ জোহারের ফলোয়াড়ের সংখ্যা কমেছে এগারো মিলিয়ন থেকে দশ মিলিয়ন। সলমন খান, আলিয়া ভাট, সোনম কাপুরের ফলোয়াড় সংখ্যা কমে চলেছে। 

আরও পড়ুনঃমামলা রুজু সলমন-করণ সহ সাতজনের বিরুদ্ধে, সুশান্তের মৃত্যুতে এঁদেরই হাত, উঠছে অভিযোগ

❤️

A post shared by Alia Bhatt ☀️ (@aliaabhatt) on

এরই মধ্যে ফলোয়াড় সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে দুই মিলিয়ন ফলোয়াড়। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু পরিকল্পিত খুন বলে দাবি করেছে কঙ্গনা রনাওয়াত। তিনি জানান, "সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর খবর আমাদের ছিন্নবিন্ন করে দিয়েছে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুকে নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে অনেক মানুষ। সুশান্তের নাকি মাথার ঠিক ছিল না। এই সব বলে বেড়াচ্ছে অসংখ্য অমানবিক মানুষজন। মানসিক চাপে ছিল বলেই নাকি আত্মহত্যা করেছেন।" 

View post on Instagram

তিনি আরও বলেন, একজন মানুষ মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিত। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভাল ছিল। একজন ব়্যাঙ্ক হোল্ডার ছিলেন সুশান্ত, তাঁর কীকরে মাথা খারাপ হয়। নিজের শেষের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি বারে বারে সকলকে অনুরোধ করতেন, 'আমার ছবি দয়া করে সবাই দেখ। আমার ছবি তোমরা না দেখলে আমায় ইন্ডাস্ট্রি থেকে বের করে দেওয়া হবে। আমার কোনও গডফাদার নেই বলিউডে, তোমরাই আমার সব।'" কঙ্গনা দাবি করেন, সুশান্তকে আত্মহত্যার করার জন্য বলিউডকে দায়ী করলেন। বলিউড তাঁকে কর্নার করে দিয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রির একজন সদস্যা হিসেবেই গণ্য করত না।